দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে সারেগামাপা খ্যাত শিল্পী দুর্নিবার সাহা। মীনাক্ষী তাঁর জীবনের অতীত অধ্যায়, ঐন্দ্রিলার সাথে ঘর বাঁধলেন দুর্নিবার। আর ফাল্গুনের সন্ধ্যায় টলিপাড়ার খুব পরিচিত মুখ ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহরের সঙ্গে চার হাত এক হল দুর্নিবারের। এদিন শহরের এক নামী ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছে এই বিয়ের আসর। সেই বিয়ের যাবতীয় তত্ত্বাবধানে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজে। যেন মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন! অতিথি আপ্যায়ন থেকে বিয়ের সব ব্যবস্থা নিজে খতিয়ে দেখছেন বুম্বাদা।
এদিন একদম বাঙালি কনের সাজেই পাওয়া গেল ঐন্দ্রিলাকে ওরফে মোহরকে। লাল বেনারসি, সঙ্গে গা ভর্তি সোনার গয়না। মাথায় টিকলি আর বুটি দেওয়া লাল ওড়না। দুর্নিবারের নামের মেহেন্দিতে দু-হাত রাঙিয়েছেন মোহর। তসরের জোড়ে বর বেশে দুর্নিবার। সাদা-গোলাপি গোলাপের মালায় পাওয়া গেল বর-কনেকে। নতুুন জীবনের স্বপ্ন মোহর-দুর্নিরারের চোখে, পিঁড়িতে দাঁড়িয়েই হাসি মুখে পোজ দুজনের।সকালেই গায়ে দুর্নিবার-মোহরের হলুদ ঘিরে ছিল সাজোসাজো রব। দুর্নিবারের জন্য শাঁখাপলা পরে, মেহেন্দি পরা হাতে ছবিও দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা সেন। লিখেছেন, ‘দুর্নি-মোহরের শুরু’।
গত বছর জুলাই মাসে দুর্নিবারের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা (মোহর)। ফেসবুক পোস্টে দুর্নিবারকে জড়িয়ে ধরা ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘জীবনটা সুন্দর যখন তুমি আশেপাশে থাকো। ধন্যবাদ আমার জীবনে আসবার জন্য এবং আমার পৃথিবীটা এতো সুন্দর করে তোলবার জন্য। হ্যাঁ, তোমাকে ভালোবাসি!’ প্রেমের কাহিনি আগেই জানা ছিল, এবার কাঙ্খিত পরিণতি পেল দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলার প্রেমের গল্প।
উল্লেখ্য, দু-বছর আগের ফাল্গুনে মীনাক্ষীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়েছিলেন দুর্নিবার। যদিও দুজনে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন ২০১৭তে। তারপর একসঙ্গেই থাকতেন। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারির শেষে সাত পাক ঘোরেন মীনাক্ষী-দুর্নিবার। কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই ছন্দপতন। ওই বছর ডিসেম্বরেই আলাদা হন দুজনে। আর সেই মাসেই দুর্নিবারের জীবনে এন্ট্রি ঐন্দ্রিলার।