শ্রাবণী পাল: বাড়তে থাকা দামের চাপে বেঁচে থাকা দুর্বিষহ হচ্ছে প্রত্যেকের। এই নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ হলেও ভালো কিছুই হয়নি। রবিবার কলকাতার রাজপথে নেমেছিল আম আদমি পার্টি। রাজনীতিতে খুব বেশি পুরনো নয় দলটি। তবে দিল্লি এবং পাঞ্জাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সফলতার শিখরে রয়েছে। এবার বাংলাতেও সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চান তারা। কলকাতার এলিয়ট পার্ক থেকে রাজভবন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় এইদিন। ছিলেন কর্মী সমর্থকেরা। রাজ্য মুখপাত্র এবং হাওড়ার ইনচার্জ অর্ণব মৈত্র, মুখপাত্র আরিফ চৌধুরী। অগুনতি কর্মী-সমর্থকেরাও ছিলেন। ‘নরেন্দ্র মোদি ছিঃ ছিঃ’ এই স্লোগান দিয়েই শুরু হয় মিছিল। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামেও গুণাবলি শোনা যায় তাঁদের মুখে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এগোতে থাকে মিছিল। রাজ্য মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র কী-খবরকে জানান, ”আমরা আপাতত সংগঠন গোছাতে মন দিয়েছি। পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে দল।” তিনি আরও জানান, স্বস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ”তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, দুর্নীতি এবং মহিলা সুরক্ষা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করতে চাই। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আমরা গোটা দেশে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের পথে এগিয়ে চলেছি।” মুখপাত্র আরিফ চৌধুরী বলেন, ”বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবনে হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকার জনজীবনকে সচ্ছল করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পারেননি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে বাঁচতে দিচ্ছে না।” এইদিন কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রসঙ্গও শোনা যায় তাঁর মুখে।



পার্কস্ট্রিটে গিয়ে থমকে যায়। পুলিশের নিষেধে রাজভবন অবধি র্যালি যায়নি। আরিফ জানান, ”আমরা শান্তিভঙ্গ করতে চাই না। পুলিশ জানিয়েছে, রাজভবনের ওদিকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই মিছিল নিয়ে যাওয়া যাবে না। আমরা তাদের কথা শুনেছি। মিছিল এখানেই থামানো হচ্ছে।” গ্যাস সিলিন্ডার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেন মহিলারা। উল্টো করে ধরা হয় সিলিন্ডারের প্রতিকৃতি। সমাজ তলানিতে ঠেকছে তা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ। একইসঙ্গে আগামীদিনে মানুষের স্বার্থ লঙ্ঘন করা কাজ হলে আবারও পথে নামবে বলে জানিয়েছে দল। মিছিল থামানোর পরে পুলিশের নিরাপত্তাতেই মুখপাত্র-সহ পাঁচজন সমর্থককে নিয়ে যাওয়া হয় রাজভবনে। সেখান সফলভাবে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। একথা কার্যত স্পষ্ট, পাঞ্জাব বিধানসভায় ভালো ফল করে মনের জোর বেড়েছে আপ- সমর্থকদের। এবার পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের খুঁটি কিছুটা হলেও শক্ত করার দিকেই এগোচ্ছে তারা।