নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেড। তার আগে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি জানিয়ে দিলেন, পরশু ব্রিগেডে তিনি শুধু থাকবেন তাই না, বক্তৃতাও করবেন। যদিও আগে সিদ্দিকি বলেছিলেন, তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেডে থাকবেন না।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিদ্দিকী বলেন, ‘বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে। ৩০টা আসন দিয়েছে বামেরা। যেগুলো চাওয়া হয়েছিল সেগুলোই পাওয়া গিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও সমস্যা মেটেনি। তবে ভোট ভাগ যাতে না হয় তার জন্য আলোচনা চলছে।’
বাম সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বুধবার বেশি রাত ও বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনা চালিয়ে আইএসএফের সঙ্গে আসন-রফা সম্পূর্ণ করে ফেলেছে সিপিএম। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙড়, উত্তর ২৪ পরগনায় বসিরহাট (উত্তর)-এর মতো কয়েকটি আসন নিয়ে যে টানাপড়েন চলছিল, তারও মীমাংসা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আইএসএফ-কে ৩০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে সিপিএম। আব্বাসদের দলের দাবি, রাজ্যে ৪০-৪২টা আসন তাদের দিয়ে জোট সম্পূর্ণ করা হোক। সিপিএম তাদের ভাগ সেরে ফেলার পরে বাকি বিষয় নির্ভর করছে কংগ্রেসের উপরে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর শনিবারই বহরমপুর থেকে কলকাতায় আসার কথা। সূত্রের খবর, সে দিন প্রথমে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনা হবে। তার পরে আইএসএফের বিষয়েও চূড়ান্ত রফা করার চেষ্টা হবে। ইতিমধ্যে আইএসএফের সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেস নেতারা।
ব্রিগেডের বক্তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা অবশ্য এ দিন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। কংগ্রেসের তরফে ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এলে তিনি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু বলবেন, এটা ঠিক হয়েছে।
সিপিএম ও সিপিআইয়ের দুই সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজার বক্তৃতাও নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। বাকিদের বিষয়ে এখনও আলোচনা জারি আছে।