নিজস্ব প্রতিবেদন: পেট্রোল এবং ডিজের চালিত যানবাহন ক্ষতি করে পরিবেশের।এর থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া ক্ষতি করে প্রকৃতির। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই সেইজন্য সাইকেলের ব্যবহার করতে বলছেন। ইদানীং চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু মহানগরীতে এমন অনেকে রাস্তা রয়েছে যেখানে রাস্তাতে সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ।পরিবেশকর্মীদের মতে,এই বিষয়ে পুরসভার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সাইকেল চলাচল করতে পারবে এমন রাস্তার সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের পরিস্থিতির কথা ভেবে দেখলে এই ধরণের দাবি মেনে নেওয়া বেশ কঠিন। করোনা কারণে তেমন রুজি-রোজগার নেই সাধারণ মানুষের। তারপর আবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। কর্মস্থলে পৌঁছতে বাইসাইকেলকে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলেও হয় মুশকিল।কারণ শহরের সব জায়গায় সাইকেল নিয়ে ঘোরা যায় না। বেশ কিছু রাস্তাতেই রয়েছে নো এন্ট্রি।গত ২ বছরে এই দ্বিচক্রযানের ওপর বেড়েছে নির্ভরতা।কিন্তু রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় বেড়েছে বিড়ম্বনাও।পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরের এমন শতাধিক রাস্তা রয়েছে যেখানে সাইকেল চালালেই জরিমানা। রাস্তায় বেরিয়েও অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। তাঁরা দাবি করছেন, শহরের রাস্তায় বাড়ানো হোক সাইকেল লেনের সংখ্যা। ৩ জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তার রবিবার ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তাই সেইসব দিক মাথায় রেখেই সাইকেল ব্যবহারের গুরুত্বের বাড়ানোর কথা বলছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশ কর্মী সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, “সাইকেলের ব্যবহার বাড়লে ৪০ শতাংশ দূষণ কমতে পারে।”তবে বললেই যে সাইকেল লেন বাড়ানো যাবে না, সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “কলকাতার মতো শহরে কঠিন, ৭ শতাংশ রাস্তা আছে, সেক্ষেত্রে মূল শহরে সাইকেল লেন করা কঠিন।” কলকাতায় সাইকেল লেন সংখা অনেক কম। যা ছিল তাও পরিণত হয়েছে ফুটপাতে। এই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা উচিত। তবে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।