নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাশাপাশি রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাও গরুপাচার এবং কয়লাপাচার কাণ্ডের তদন্ত করছে। এই নিয়ে হাইকোর্টে একাধিকবার প্রশ্নও উঠেছে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে তখন সিআইডির তদন্তের প্রয়োজন কী রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে এই দুই ঘটনার তদন্ত নিয়ে এক প্রকার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এবার গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কিং পিন এনামুল হককে জেরা করতেই সিআইডি-র টিম পৌঁছেছে দিল্লিতে। তিহার জেলে তাঁকে জেরা করা হবে।
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে এনামুলের ৩ ভাগ্নে-সহ মোট ৪ জনের। তিন ভাগ্নে মেদেহি হাসান, হুমায়ুন কবীর, জাহাঙ্গিরের নামে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। অভিযোগ ওঠে, এনামুল গ্রেপ্তার হওয়ার পরও তাঁর কোম্পানি চালু ছিল, চালাচ্ছিলেন তাঁর ভাগ্নেরা। শুধু তাই নয়, ভাগ্নেরা ওই কোম্পানির নামে গরু পাচারের টাকা বিদেশে পাচার করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই সম্পর্কে জেরা করতেই এদিন দিল্লি গিয়েছেন গোয়েন্দারা।
এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে দিল্লির এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সিআইডি। সেখানে গিয়ে দিল্লি পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার যোগ রয়েছে। এদিকে আবার সূত্রের খবর এনামূলের তিন ভাগ্নেকে ক্ল্যানারে রেখেছে ইডি। এনামূলের গ্রেফতারির পরেও তার তিন ভাগ্নে দেশের বাইরে থেকে গরুপাচার এবং কয়লা পাচারের টাকা বাজারে খাটিয়েছিল। কালো টাকা সাদা করেছিল।
কয়লা পাচার কাণ্ডের পাশাপাশি কীভাবে গরুপাচারের কারবার চালাতেন এনামূল তা জানতেই সিআইডি অফিসররা তাঁকে জেরা করতে চায়। কীভাবে ভুয়ো কাগজ তৈরি করে হত গরু পাচার। কোন পথে নিয়ে যাওয়া হত গরুগুলি? এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতেই তিহার জেলে তাঁকে জেরা করতে চাইছে ইডি। এদিেক এনামূলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে। বীরভূমে দিয়ে গরুপাচারের জন্য মোটা টাকা নিতেন কেষ্ট। সেই চাকার বিপুল লেনদেহেন হদিশ পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু এবার সিআইডিও তদন্ত শুরু করেছে।