নিজস্ব সংবাদদাতা :: করোনার সংক্রমনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে রাজ্যজুড়ে সপ্তাহের যেকোনো দুদিন লক ডাউন করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ প্রশাসন। তাই এই সপ্তাহে লক ডাউনের প্রথমদিনে গাড়ি-ঘোড়া একেবারেই কম থাকায় দূষণের মাত্রা কমেছে অনেকাংশে। পাশাপাশি অফিস গুলিও বন্ধ থাকায় ফুটপাতে খাবারের দোকানে উনুনের ধোঁয়াও নেই শহরের বাতাসে। এর সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। সবকিছু মিলিয়ে বৃহস্পতিবার মহানগরীতে দূষণের পারদ একেবারেই নিম্নমুখী। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন এইরকম লকডাউন আরো বেশ কিছুদিন চললে যেমন করো না সংক্রমণকে খানিকটা হলেও হারানো যাবে তেমন একইসঙ্গে হারানো যাবে বায়ু দূষণের চোখরাঙানিকেও। সব থেকে ভালো অবস্থা ছিল যাদবপুরের। সেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের নীচেই ঘোরাফেরা করছে দূষণ পরিমাপ করার কাঁটা। এরপর একে একে রয়েছে ময়দান, রবীন্দ্র সরোবর, রবীন্দ্রভারতী, বিধাননগর চত্বর। শহর কলকাতার সাত জায়গায় বায়ূ দূষণ পরিমাপের মিটার বসানো আছে। ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী এই সাত জায়গায় বায়ু দূষণের পরিমাপ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে কোথাও দূষণের চেহারা ‘সবুজ’ হাতছাড়া করেনি। করোনা সংক্রমণ রোধে যখন ২৩ মার্চ প্রথম লকডাউন শুরু হয় রাজ্য তথা মহানগরীতে তার কিছু দিন পর থেকেই দূষণের মাত্রা হুহু করে কমতে থাকে। মাঝে লকডাউন এর আনলক পর্বে গাড়ি চলা শুরু হওয়ায় সে ক্ষেত্রে দূষণ খানিক বাড়লেও বৃহস্পতিবার ফের পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ও সঙ্গে বৃষ্টির যুগলবন্দী এক ধাক্কায় দূষণের পারদকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।পরিবেশবিদদের মতে, আগামী কয়েকদিন ধাপে ধাপে এমন লকডাউন ও আবহাওয়া থাকলে আরও সতেজ ও সুস্থ হবে শহরের চেহারা।