নিজস্ব সংবাদদাতা : ফুরফুরা শরিফ দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশকে প্রভাবিত করে এই ফুরফুরা শরিফ। তাই ভোটের আগে সব দলই ফুরফুরার দ্বারস্থ হয়। এমনকী, বামেরাও ফুরফুরার সংস্পর্শ এড়ায় না।
আগামী ৬,৭ ও ৮ মার্চ ৩ দিন ফুরফুরা শরিফে ধর্মসভা অর্থাত্ উরস উত্সব রয়েছে। সেই উরস উতসবে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে নবান্নে এসেছিলেন ত্বহা সিদ্দিকি। আধ ঘণ্টার বেশি সময় কথা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলেই দাবি ফুরফুরার পিরজাদার।
তিনি জানিয়েছেন, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুধুমাত্র ওই ধর্মসভা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ওই তিন দিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় ফুরফুরা শরিফে। তাই ধর্মসভার প্রস্তুতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে ফুরফুরার রাজনৈতিক সমর্থন মূলত তৃণমূলের সঙ্গেই আছে।
ত্বহা নিজেও একাধিকবার মমতাকে সমর্থনের কথা বলেছেন। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি আলাদা। ফুরফুরারই আরেক পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি আবার নতুন দল খুলেছেন। সেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট আবার বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও আলোচনা করছে।
এই আবহে ভোটের মুখে মমতা- ত্বহা সাক্ষাৎ বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ত্বহার দাবি, ওই উরস উত্সব চলাকালীনই ফুরফুরায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা। যদি সেটা সম্ভব নাও হয়, ভোটের আগে তিনি একবার অন্তত প্রার্থনা করতে ফুরফুরা যাবেন। এ বিষয়ে তিনি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত বলেও দাবি করেছেন পিরজাদা।