নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতে এসেছেন মুকুল রায়। প্রথমবার একদিনের অধিবেশনে বিধানসভায় গিয়ে সর্বপ্রথম দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। তবে কিছুদিন পর জল্পনায় নিজেই জল ঢালেন রাজনৈতিক জীবনের প্রথমবার বিধায়ক মুকুল রায়। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বিজেপিতে থাকছেন।
এরপর গত ১১ জুন রীতিমতো গেরুয়া শিবিরকে ধাক্কা দিয়ে সপুত্র তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর বিধানসভার প্রথম অধিবেশন। শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে সেই মুকুল রায়কেই দেখা গেল বিরোধীদের আসনে। বিধানসভার প্রথা অনুযায়ী তা নিয়মবিরুদ্ধ না হলেও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিজেপি।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মুকুল রায়ের মতো একজন নেতা, যিনি বিজেপির হয়ে জিতলেন। তারপর তৃণমূলে যোগ দিলেন। তার পরেও এখন নির্লজ্জের মতো আমাদের বেঞ্চে বসে রইলেন। কেন? পিএসির চেয়ারম্যান হবে বলেই কি তিনি এখন ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেন? ‘
মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে অধ্যক্ষর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। পাল্টা তৃণমূল শুভেন্দুকে তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।