নিজস্ব সংবাদদাতা : চলতি মাসের মাঝের দিকে হঠাত্ করেই পুনরুত্থিত হয় নারদ মামলা। কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা গ্রেপ্তার হওয়া ৪ হেভিওয়েট নেতা অর্থাত্ ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেয়।
সোমবার সকাল ১১টায় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী তথা সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা ব্যস্ত থাকায় শুনানির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। বেলা দুটোয় নারদ মামলার শুনানি শুরু হয়।
নারদ মামলা কি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হবে? তা নিয়ে সোমবারও সিদ্ধান্ত হল না। শুনানি শুরু হতেই কলকাতা হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলা যাতে না শোনা হয় তার আবেদন জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
তাঁর দাবি, ‘বৃহত্তর বেঞ্চ এই মামলা শুনতে পারে না।’ শুরুতেই তিনটি বিষয়ে উত্থাপন করেন তিনি। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘গত ১৭ মে অর্থাত্ প্রথম যখন এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তখন সবপক্ষের কথা শোনা হয়নি।
সকলের কথা না শুনেই রায় দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফৌজদারি বিধির ৪০৭ নম্বর ধারায় সিবিআই আবেদন করেছে এই মামলা অন্যত্র স্থানান্তর করার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার এই মূল আবেদন এই আদালত গ্রহণ করতে পারে না।
মামলা স্থানান্তরের নির্দেশও এই আদালত দিতে পারে না।’ এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয় বলে খবর। শুনানির পর পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ কোনও রায় দেয়নি। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা।