নিজস্ব সংবাদদাতা : বুধবারই সিবিআইয়ের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে বাংলার এক জনপ্রিয় চ্যানেলের সাংবাদিককে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কসবা থানার পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওই সাংবাদিককে সাসপেন্ড করেছে চ্যানেল।
তাদের তরফে টুইট করে সাসপেনশনের খবর জানানো হয় এবং তিনি যে চ্যানেলের স্থায়ী কর্মী ছিলেন না, তাও প্রকাশ করা হয়েছে। এহেন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যাতে চ্যানেলকে জড়িয়ে ফেলা না হয়, সেই তাগিদেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বলে মত অনেকের।
এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দক্ষিণ শহরতলি এলাকা থেকে একে একে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুরের বাসিন্দা অর্ঘ্য সেনগুপ্ত, নেতাজি নগরের অনির্বাণ কাঞ্জিলাল এবং রাজু মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের জুলফিকার আলি এবং আসরফ আলি। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন ফেরার।
তাদের খোঁজ পেতে তত্পর পুলিশ। সিবিআই আধিকারিক সেজে, ভয় দেখিয়ে তোলা আদায় এবং অপহরণের মতো অপরাধমূলক কাণ্ডে জড়িত এরা। ধৃতরা নিজেদের সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে অপহৃতের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে অভিযোগ।
এর পিছনে খুব বড়সড় কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে। সেই চক্রের জাল দ্রুত ছিঁড়ে ফেলতে মরিয়া সিবিআই, পুলিশ।
