নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, গণতন্ত্রকে সমর্থন করি, কিন্তু তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে অনেক এগিয়ে গিয়েছে, তাদের পুরনোদের খোঁজ রাখার সময় নেই’। পুরভোটের সময় প্রশান্ত কিশোরের দলের লোক তাঁর কাছে এলেও যোগাযোগ করেননি ঘাসফুল শিবিরের কেউ। ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সচ্চিদানন্দর গলায় শোনা গেল এমনই অভিমানের সুর।
একুশের নির্বাচনে ৭২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারের তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ রঞ্জন বক্সি। বাদ পড়েছেন তৃণমূলের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী সচ্চিদানন্দ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয়দের মনুয়া দা। তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছেন কংগ্রেস। তবে পুর নির্বাচনে জয়ী হলেও তৃণমূল বা কংগ্রেস, কোনও দলেই যোগ দেবেন না তিনি। জানালেন একদা মমতার নির্ভরযোগ্য সৈনিক সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীরা মনোনয়ন না তুলে নিলে দল ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থীর দাবি, ‘আমি তো তৃণমূলের সদস্য নই, আমাকে বহিষ্কারের প্রশ্ন আসছে কেন?’ দলের সঙ্গে দূরত্ব শুরু হয়েছিল উনিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের সময় থেকেই। নিজের ওয়ার্ডে তৃণমূলের লিড না পাওয়ার দায় নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তারপর দলে সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি সচ্চিদানন্দকে একুশের পুরভোটে সচ্চিদানন্দ এবার নির্দল প্রার্থী। তবে নির্দল হিসেবে জয়লাভ করলেও এবার সক্রিয় রাজনীতি থেকে ইতি টানবেন বলেই জানিয়েছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।