নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড। এমারজেন্সি বিভাগে আগুন। সিটি স্ক্যান বিভাগে আগুন লেগেছে। জরুরী বিভাগ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল হাসপাতাল চত্বর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ৯-১০টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এসএসকেএমের মতো সুপারস্পেশালিটি সরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড কীভাবে? কেনই বা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা নেওয়া হল না। বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রেখে জরুরি কালীন রোগীদের স্বাস্থ্যপরিসেবা কেন বিঘ্নিত হল? এই একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে ওই কমিটিকে। এরপর স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই কমিটিতে রয়েছেন এসএসকেএমের সুপার।
একাধিক প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের ফায়ার এসটিংগুইশ ব্যবস্থা নিয়ে। আদৌ হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত? এছাড়াও, ১৫ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময় জরুরিকালীন অবস্থায় যে রোগীরা ভর্তি ছিলেন তাঁদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রগুলির কী হল? কারণ জরুরিকালীন চিকিৎসায় থাকা রোগীদের কাছে ১৫ মিনিটও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। এক রোগী পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল শুধুমাত্র অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। রোগী সম্পর্কে কোনওরকম খবর দেওয়া হয়নি।
রাতে সিটি স্ক্যান, রক্ত পরীক্ষা সহ একাধিক চিকিৎসা বন্ধ থাকলেও সকাল হতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ট্রমা কেয়ার বিভাগে চলছে সিটি স্ক্যানের কাজ। এছাড়াও ব্লাড টেস্ট সহ একাধিক থমকে থাকা চিকিৎসা পদ্ধতি পুনরায় শুরু হয়েছে।