নিজস্ব প্রতিবেদন :- ঘটনার পর পেরিয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। আর তাতেই বড়সড় সাফল্য পেল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। হরিদেবপুরের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পরল ৪ অভিযুক্ত।ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে স্রেফ ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই অটোতে বোমা এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।ধৃত ৪ অভিযুক্তকে রবিবার তোলা হয় আদালতে।
পুলিশ সূত্রে খবর,ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, স্বপন মিত্র এবং ভৈরব বসুর সঙ্গে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছিল। কারণ, ভৈরব এবং বিশ্বজিৎ দু’জনেই অটোর ফিনান্সার। হরিদেবপুরের ৪১ পল্লি ক্লাবের কাছে বিশ্বজিতের অফিস। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত অটো থেকে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে বিশ্বজিৎকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে ভৈরব। বাবলু দলুই ওরফে সোনু, স্বপন মিত্র এবং অজিত দাসকে ওই পরিকল্পনায় যুক্ত করে সে। অজিত বোমা তৈরিতে পটু। তাই সে বোমা তৈরি করে। স্বপন অজিতের কাছ থেকে ওয়ান শর্টার বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র কেনে। ওই অস্ত্রশস্ত্র কেনার টাকা ভৈরবই দিয়েছিল তাকে।
স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা। গত ১৮ এপ্রিল গভীর রাতের সিসিটিভি ফুটেজে একটি বাইকে চড়ে দু’জনকে সেখানে আসতে দেখা গিয়েছিল।প্লাস্টিকের প্যাকেটে কিছু রাখা হচ্ছে, তাও দেখা গিয়েছিল।ওই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই পুলিশ দু’জনকে চিহ্নিত করে। তাদের জেরা করেই বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হরিদেবপুর থানা এলাকায় অটোর ভিতর থেকে বোমা, কার্তুজ উদ্ধার হয় শুক্রবার রাতে।
হরিদেবপুর থানা এলাকার ৪১ পল্লি ক্লাবের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় অটোটি দাঁড়িয়ে ছিল। দুই যুবককে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ১৮ এপ্রিল ভোর ৩ টে ৩৫ মিনিট নাগাদ দুই যুবক এসে পরিত্যক্ত অটোটির মধ্যে ১৯টি বোমা ও ২টি গুলি ও ১ টি বন্দুক রেখে গিয়েছে। এরপর তদন্ত করে পুলিশ ধৃতদের গ্রেফতার করে।জানা গিয়েছে, ভৈরবের ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তবে বিশ্বজিতের ব্যবসা ফুলেফেঁপেই উঠেছিল। বিশ্বজিতের ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই ভৈরব এই চক্রান্ত করেছিল। ধৃতদের জেরা করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।