নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার সংস্থা এভারগ্রিন ফিউচার বিকল্প জ্বালানি তৈরি করেছেন। সিএনজি বা হাইড্রোজেন গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে এই পদক্ষেপ। সংস্থার দাবি, বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করলেই পরিবহণের খরচ অনেক কম হবে। সকাররের সাথে এই জ্বালানি পরিবহনে ব্যবহারের কথাবার্তা চলছে। পেট্রোল ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ছিল ১১৫ টাকা ১২ পয়সা, ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৯৯ টাকা ৮৩ পয়সা। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প জ্বালানির খোঁজ চালানো হচ্ছে। তাই কলকাতার এই সংস্থা বিকল্প জ্বালানি তৈরির ক্ষেত্রেই আশার আলো দেখাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন,সিএনজি ও হাইড্রোজেন জ্বালানিকে ব্যবহার করা যেতে পারে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে। কলকাতার সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ,উত্তরপ্রদেশে এই জ্বালানি তৈরির কারখানা করা হবে। কৃষি ও প্রাণিজাত বর্জ্য ব্যবহার করে এই গ্যাস তৈরি করা হবে হাইড্রোজেন গ্যাস ও সিএনজি। তাছাড়া ধোঁয়াবিহীন কয়লা তৈরিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাব প্রোডাক্ট হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার সাথে বায়োটার তৈরি করা হয় যা রং শিল্পের কাজে লাগে এভারগ্রিন ফিউচারের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার রাজুগোপাল বর্মন গোটা পদ্ধতিটি বর্ণনা করেছেন। কোন প্রযুক্তিতে ও কিভাবে ব্যবহার করা হবে এই গ্যাস। এভারগ্রিন ফিউচারের সিইও দেবাশিস বসু গ্যাসের ব্যবহার সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন। তাদের মতে, সংস্থার প্রযুক্তিতে তৈরি সিএনজি ব্যবহার করলে প্রতি কিলোমিটারে একটি বাসের জ্বালানি খরচ প্রায় ১৫ টাকা অর্থাৎ খরচ কমতে পারে কিলোমিটারে ৫ টাকা। ইতিমধ্যে উত্পাদিত গ্যাসের পেটেন্ট নিয়েছেনা এই সংস্থা।তাছাড়া উৎপাদিত গ্যাসের ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা চালানো হচ্ছে। পেট্রোল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জন্য ভাড়া বাড়িয়েছিল বাসগুলি তাই যদি এই জ্বালানি ব্যবহার করা হয় তবে অনেকটাই ভাড়া বৃদ্ধির দৌরাত্ম কম হবে।