নিজস্ব সংবাদদাতা : বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহরের প্রায় ১৪টা রুটের বাস। ফলে দুর্ভোগ বাড়তে পারে যাত্রীদের। বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, ১২, ১২এ, ১২বি, ১২ সি, ১, ১বি, ১এ, ৪২এ/বি, এছাড়া ১২৩, ১৬১, ৩৯ রুট যে সব রুটে গাড়ি চালায় তা বন্ধ রাখা হবে।
বেশ কয়েকটি গাড়ি এর মধ্যে হাওড়া থেকে বিভিন্ন রুটে যায়। এরপর ধাপে ধাপে আরও বাস বসে যাবে। ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর টাকা আদায়ের দাবিতে নবান্ন অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
তাদের দাবি , ‘প্রায় ৪০ টি বাস কোভিডের সময় সরকারি হাসপাতালের নার্স কর্মীদের আনা নেওয়া করেছিল। টানা মাসের পর মাস ডিউটি করেছে। কিন্তু একবার মাত্র প্রথম লটে কয়েকদিনের ভাড়া পেয়েছে মালিকরা। বাকি টাকা বকেয়া। তা আদায়েই আমরা নবান্ন অভিযান করব।’
বাস মালিকরা জানাচ্ছেন, কন্ডাক্টররা ন্যূনতম ভাড়া নিতেন ১০ টাকা। কোথাও তারও বেশি। যাত্রীরাও বাধ্য হয়ে তা দিতেন। কারন ট্রেন ছিল বন্ধ। কিন্তু এখন আর যাত্রীরা তা দিচ্ছেন না। তারা সাত টাকাই ভাড়া দিচ্ছেন। যে কারনে বাস মালিকদের গাড়ি নামিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই বসিয়ে দিচ্ছেন তারা।
তাঁদের দাবি, ভাড়া না বাড়ালে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এমনিতেই রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা কমেছে। একাধিক ডিপো থেকে বাসই বেরোচ্ছে না। বেসরকারি বাসও চলছে হাতে গোনা। তার উপর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আরও বাস কমে যাবে রাস্তায়। দিনে-রাতে বাস পেতে চরম সমস্যায় পড়বেন নিত্যযাত্রীরা।