নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘দুয়ারে সসরকার’, ‘কন্যাশ্রী’-সহ একাধিক জনদরদী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় প্রত্যেকটি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। আরো একবার অসহায়দের পাশে রাজ্য সরকার। করোনা শৃঙ্খল ভাঙতে গত ২০২০ সালে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার ফলে বন্ধ হয়ে যায় একাধিক অফিস। কাজ হারান অনেকেই। আয় প্রায় তলানিতে ঠেকে তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই অর্থ সংকটে পড়েন বহু মানুষ। আর যাতে কাউকেই তেমনই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়, তাই বিশেষ পদক্ষেপ নিল নবান্ন।
দুস্থ কোভিড রোগীদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। তাঁদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা নবান্নের। চাল, মুড়ি, বিস্কুট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী-সহ একটি প্যাকেট অসহায়দের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে পুলিশ। এই মর্মে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, “গত বছরের শেষের দিক থেকেই রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা। বহু মানুষই আক্রান্ত হয়েছেন। উপসর্গ বেশি না থাকায় অনেকেই বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন।
তাই কারও কারও আয় বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুট, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী-সহ প্যাকেট দুস্থ কোভিড রোগীদের বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। জেলাশাসকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। পুলিশের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে।”করোনাকালে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ।
এদিকে রাজ্যে আরও বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। এই তালিকায় নতুন সংযোজন হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুই জেলার বেশ কিছু এলাকা গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় রাজ্যে মোট গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা বেড়ে হল ১৫৯। দুই জেলাতেই ৪১টি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
কোভিড সংক্রমণের নিরিখে রাজ্য সরকার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার যে তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ২১টি বিধাননগর মহকুমার, বারাসতের দু’টি এবং ব্যারাকপুরের ১৮টি। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কনটেনমেন্ট জোন এলাকা চিহ্নিত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই জেলায় ৫২টি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।