নিজস্ব প্রতিবেদন: পরপর তিনটি ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন আইআইটি খড়গপুরের গবেষকরা। দু’এক মাস ধরে করোনার দাপট সেভাবে চোখে পড়েনি দেশে। এখন যুদ্ধ নিয়েই ব্যস্ত সব দেশ। এরই মধ্যে আশঙ্কার বাণী শোনালেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কানপুরের গবেষকরা। জুন মাসের শেষের দিকেই চতুর্থ ঢেউয়ে জেরবার হতে পারে বিশ্বের একাধিক দেশ।
আইআইটি কানপুরের নয়া গবেষণায় বলা হয়েছে, ২২ জুন থেকেই দাপট শুরু হতে পারে করোনার। আর প্রায় ৪ মাস ধরে চলবে এই অশান্তি। যদিও এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়ের উপর। প্রত্যেকটি দেশের টিকাকরণের হার, করোনার নয়া প্রজাতি, বুস্টার ডোজ এবং করোনা সতর্কতা মেনে চলার উপর। আইআইটি’র তিন গবেষক সবরপ্রসাদ রাজেশভাই, শুভ্রশংকর ধর এবং শলভ এই গবেষণাটি করেছেন। জিমবাবয়ের করোনা সম্পর্কিত তথ্যের ভিত্তিতেই এই গবেষণা করেছেন তাঁরা। আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টার পর করোনার আরও নয়া প্রজাতি সামনে আসতে পারে। তবে অবশ্যই তা সতর্কতার উপর নির্ভরশীল। এই প্রজাতি ওমিক্রন প্লাস হতে পারে।
ভারতে কী প্রভাব পড়বে?
কানপুর গবেষণার তথ্য বলছে ৩০ জানুয়ারি, ২০২০-র ৯৩৬ দিন পর চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এই হিসেব অনুযায়ী সম্ভ্যাব্য সময় চলতি বছরের ২২ জুন। যা শেষ হবে এই বছরেরই ২৪ অক্টোবরে। ভারতে নয়া প্রজাতি নির্ভর করবে মানুষের সচেতনতার উপর। আর অবশ্যই টিকাকরণের উপর। যদি নয়া প্রজাতি ওমিক্রন প্লাসে পরিণত হয় তবে পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাবে। কিন্তু এই পরিস্থিত নির্ভর করবে টিকা, আর কো-মর্বিডিটির উপর।