নিজস্ব সংবাদদাতা: আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে উঠে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোভিডের কারণে ফুসফুসের পাশাপশি, ক্ষতি হচ্ছে হৃদযন্ত্রেরও। উপসর্গ মৃদু হোক বা বেশি- কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর নজর রাখতে হবে হৃদযন্ত্রের দিকে। মত চিকিত্সকদের। গবেষণা বলছে- করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বাড়ছে হৃদরোগের আশঙ্কা। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমেরিকায় করোনা আক্রান্তদের ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সুস্থ হওয়ার ১ বছর পর পর্যন্ত তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যাঁদের উপসর্গ মৃদু ছিল, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি একই রকম। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মোট ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন রোগীর ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অতনু সাহার কথায়, “মাস্ক খোলা – এটা ঘটনা যে সেকেন্ড ওয়েভের মধ্যে আক্রান্তদের অনেকেই হার্টের সমস্যা নিয়ে এসেছে। তৃতীয় ঢেউয়ের পর অনেক বেড়েছে। কোভিডের কারণে হার্টের প্রবলেম বেড়েছে। বিশদে খতিয়ে দেখা দরকার।‘’ জার্নাল অফ অ্যামেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন বিজ্ঞান পত্রিকায় এমনই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ রক্তিম গুহের কথায়, “মাস্ক পরা, কোভিড হলে হার্টের প্রবলেম হয়। থার্ড ওয়েভে মৃদু উপসর্গ । আমার মনে হচ্ছে ফুসফুসের থেকে হার্টের বেশি ক্ষতি হয়েছে। পরে জানা গেছে কোভিডে আক্রান্ত।

চিকিত্সকরা বলছেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেখা যায়, ফুসফুসের পশাপাশি, আক্রান্তদের হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। এমনকী শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যাও দেখা যায়। শহরের চিকিত্সকদেরো বক্তব্য, তৃতীয় ঢেউয়ে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বা করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।