ইনস্টাগ্রামে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে মহিলাদের সঙ্গে আলাপ, তারপর ধর্ষণ। একাধিক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। কাউকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, কারও সঙ্গে নিছক দেখা করার অছিলায় বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতেন যুবক। তারপরেই ধর্ষণ (Rape Case)। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম দিল্লী প্রসাদ। বেঙ্গালুরুর কোরামঙ্গলার বাসিন্দা তিনি। উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রামে মেয়ের নাম এবং ছবি দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট চালাতেন অভিযুক্ত। ওই অ্যাকাউন্টের নাম ছিল ‘মনিকা’। অন্য একটি অ্যাকাউন্টের নাম ‘ম্যানেজার’। দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকেই দিল্লি প্রসাদের লক্ষ্য ছিল মহিলারা। তরুণী, যুবতী, বিশেষ করে যাঁরা চাকরি খুঁজছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন অভিযুক্ত দিল্লী প্রসাদ। জানাতেন, তাঁর অনেক পরিচিতি। সেখান থেকে চাকরি দিতে পারেন তিনি। অভিযুক্তের কথায় বিশ্বাস করে মহিলারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁদের কোনও একটি হোটেলে দেখা করতে বলা হত। সেখানেই ধর্ষণ (Rape Case) করতেন বলে অভিযোগ। পুরো কর্মকাণ্ড তিনি ভিডিয়ো করে রাখতেন। যা দিয়ে নির্যাতিতাদের পরে ব্ল্যাকমেল করা যায়। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ)-সহ আইটি আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।