নিজস্ব সংবাদদাতা : হোম থেকে নাকি বেআইনিভাবে শিশু দত্তক দেওয়া হতো। বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা শিশুদের ওই হোমে রাখা হতো। অভিযোগ উঠছে, মোটা টাকার বিনিময়ে ওই হোম থেকে শিশুদের দত্তক দেওয়া হতো। শিশুদের যৌন নিগ্রহ করারও অভিযোগ উঠছে। এনিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে হাওড়া মহিলা থানায়। সূত্রের খবর হোমাটি চালাতেন এলাকার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার আত্মীয়।মালিপাঁচঘরার ওই হোমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে হোমের ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই ওই হোমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছিল। এখন দেখা হচ্ছে ওইসব ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত। একটি বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে সিটি পুলিস। হাওড়া সিটি পুলিসের কমিশনার সি সুধাকরের নেতৃত্বে তদন্তে নামেন হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দারা। এর জেরে গত রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়।অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা শিশুদের অনলাইনের মাধ্যমে দত্তক দেওয়া হতো।
দত্তক দেওয়ার জন্য ৩-৯ লাখ টাকাও নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে একজন সরকারি আধিকারিক রয়েছে। এদের মধ্যে হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্রবধূ গীতশ্রী অধিকারীকেও আটক করা হয়েছে। এখন ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।