ফ্লেভারড ভদকা বা ফ্লেভারড ওয়াইন হয়তো প্রায় সবাই শুনেছেন। কিন্তু ফ্লেভারড চোলাই মদ হয় সেটা কি জানতেন ! এ এক অন্য গল্প। একে তো ভেজাল মদ, তাতে আবার ফ্লেভার ! এমন জিনিস পান করার পর শরীরে কী হাল হতে পারে বুঝতে পারছেন ! তবে এসব জিনিস যারা তৈরি করছে তাদের আখেরে টাকা নিয়ে কথা, মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের চিন্তা তাদের মধ্যে নেই।বিদেশি ব্র্যান্ডের মদের বোতলে ভরা হত ফ্লেভারড চোলাই মদ। এবার জানা গিয়েছে বিদেশি ব্র্যান্ডের মদের ফ্লেভার বাংলাদেশে ঢুকছে বিদেশ থেকে। ঢাকার মিটফোর্ড এলাকা থেকে এই ফ্লেভার গুলি অনেকে সংগ্রহ করেন বলে খবর। এই ফ্লেভার মানুষের শরীরে বিষের মতো ক্ষতিকারক। প্রথমে ফ্লেভার ও রং মিশিয়ে ভেজাল মদ তৈরি হয়। তার পর সেই মদ বিদেশি মদের বোতলে ভরে বিক্রি হয়। আর এই বিদেশী মদের বোতলগুলি আবর্জনা ফেলার এলাকা থেকে সংগ্রহ করে একদল লোক। রেক্টিফায়েড স্পিরিট বা মিথানল দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব ভেজাল মদ।অসাধু ব্যবসায়ীরা কাঠশিল্পে বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত মিথানল দিয়ে ভেজাল মদ তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। রেক্টিফায়েড স্পিরিট অ্যালকোহল হলেও সরাসরি পানযোগ্য নয়। রেক্টিফায়েড স্পিরিট হোমিপ্যাথি ওষুধ তৈরিতে খুব সামান্য পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। যে কোনও উৎসবের সময় মদের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে তখনই বাংলাদেশের বাজারে ছেয়ে যায় এই ভেজাল মদ। দেদার বিক্রি হয়। আর এই ভেজাল মদ পান করে বাংলাদেশে প্রতি বছর বহু মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।বাংলাদেশের ঢাকার রামপুরার বনশ্রী এলাকায় গত বছর মার্চ মাসে অভিযান চালিয়ে একটি ভেজাল মদ তৈরির কারখানার হদিশ পেয়েছিল ডিএনসি। এই ডিএনসি হল বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
Fake Flavored Liquor: বাজারে এবার ফ্লেভারড চোলাই মদ !
