নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামীকাল, ১৪ মার্চ থেকে শুরু জীবনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক। শুধুমাত্র দিতে বৃহত্তম পরীক্ষা বলল ভুল হবে স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষা। গোটা বারোটা বছর কিভাবে কেটে যায় তা কল্পনাও করতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ভালো লাগা, খারাপ লাগা, নতুন-নতুন বন্ধু হওয়া সমস্ত কিছুই এই স্কুলের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তবে জীবনের ১১টা বছর যেভাবেই কাটুক না কেন শেষ বছরটি অর্থাত্ ১২ নম্বর বছর যখন স্কুল ছাড়ার পালা আসে তখন সবারই চোখ ভিজে আসে। সেই সকল কথাকে মাথায় রেখেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই জীবন। আগামী ১৪ মার্চ, মঙ্গলবার থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক, শেষ ২৭ মার্চ, সোমবার। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১:১৫ মিনিট পর্যন্ত। চলতি বারে এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল…
- পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল সহ অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র প্রবেশ করা যাবে না। অ্যাডমিট কার্ড প্রদানের আগে সকল বিদ্যালয় গুলি নিজেদের পড়ুয়াদের এ বিষয় অবগত করার নির্দেশ দিয়েছেন পর্ষদ।
- পরীক্ষা কেন্দ্র পুরো বিদ্যালযয়ের নজরদারির ব্যবস্থা অত্যন্ত দৃঢ় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থী সহ কোন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বাইরে বেরোতে পারবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকবে পুলিসি নিরাপত্তা।
- এছাড়াও ভেনু সুপারভাইজাররাও নজর দারি রাখবে যাতে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় কাউন্সিলের সদস্য, ভেনু সুপারভাইজার ও পুলিশের উপস্থিত থাকাটা বাধ্যতামূলক।
- আর যদি পরীক্ষা চলাকালীন কোন বিদ্যালয়ে ভাঙচুর, টুকলি ও সমস্যার খবর সামনে আসলে সেই কেন্দ্রের পরীক্ষা ও রেজাল্ট বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
- সকল কাউন্সিল সদস্য, সুপারভাইজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিত থাকতে হবে সকাল ৮ টার মধ্যে। যদি কোন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন বা কোন প্রয়োজনে সামর্থক পাওয়া যায় তাহলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। শুধু পরীক্ষার্থী নয় পরীক্ষা চলাকালীন কোন শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
- ভেনু সুপারভাইজারদের এর প্রতি মুহূর্তের তথ্য পর্ষদকে জানাতে হবে। প্রশ্নপত্র নিয়ে আসা ও উত্তরপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিসি নিরাপত্তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোন কারণে এই নিয়ম পালন না হলে, সঙ্গে সঙ্গেই পর্ষদকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।