“ত্রিপুরা আমার ঘর, আমি নিজের ঘরে এসেছি”, ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
ত্রিপুরার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, সন্তোষমোহন দেবের সঙ্গে এককাট্টা হয়ে আন্দোলন চালানোর কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ত্রিপুরা আমার ঘর, আমি নিজের ঘরে এসেছি”। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ত্রিপুরার মানুষ বাংলায় কথা বলেন। তাঁদের খাওয়া, পোশাক, চালচলন সবই পশ্চিমবঙ্গের মতোই। বিশেষ করে ত্রিপুরায় গিয়ে বাংলায় কথা বলতে পারেন, এটাই তাঁর সবচেয়ে ভালো লাগে বলে জানান মমতা। একই সঙ্গে ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলের মানুষেরও পাশে থাকার বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন বিমানবন্দরে মমতা ও অভিষেককে স্বাগত জানাতে আসেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সদ্য মাতৃহারা হয়েছেন তিনি। দলনেত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজীব, তাঁকে সান্ত্বনা দেন মমতা। বিমানবন্দরের বাইরে তখন উপচে পড়া ভিড়। তৃণমূল সভানেত্রীকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সেখানকার মানুষ। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ত্রিপুরায় বিরোধীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন শাসকদল। সাংবাদিকদের উপর, সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুস্মিতা দেব, দোলা সেনের মতো তৃণমূল সাংসদদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। এবার নির্বাচনে সেই সবেরই জবাব দিতে হবে বলে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।