আগরতলার বুকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের রোড শো করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুতেই ত্রিপুরাবাসীকে একাত্মতার বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি মনে করালেন, আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, অভ্যাস এক, ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা এক। বলে দিলেন, বাংলা আর ত্রিপুরা আসলে ভাইবোন। ত্রিপুরা, মেঘালয় তথা গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালবাসা আছে, সেটাও এদিন মনে করা নেত্রী। ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে বাংলা মডেলকেই এদিন হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত। বাংলার উন্নয়নের ফিরিস্তি সাজিয়ে নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরাবাসীকে (Tripura) দুর্দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার স্বপ্ন দেখালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সবুজশ্রী থেকে সমব্যাথী পর্যন্ত বাংলার সরকারের যাবতীয় কর্মসূচির কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন করলেন, বাংলা যদি পারে, তাহলে ত্রিপুরা কেন পারবে না ?

ত্রিপুরায় মোট ৬০ টি আসনের মধ্যে ২৮ টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তবে আজকের রোড শো তৃণমূল কংগ্রেসকে বেশ কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আজকের রোড শো আমজনতার অভাবনীয় সাড়া বিরোধীদের তো বটেই, তৃণমূলের স্থানীয় নেতানেত্রীদেরও অবাক করে দিয়েছে। ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘ আপনারা বাম অপশাসন দেখেছেন, বিজেপি দেখেছেন, কংগ্রেসের সরকারও দেখেছেন। একবার তৃণমূলকে সমর্থন করুন। আমরা বাংলায় পেরেছি, ত্রিপুরায় (Tripura) পারব। আর যদি প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারি তাহলে ফিরিয়ে দেবেন।’ তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘যদি একটু পাই, হাজার গুণ ফেরত দেব। আমরা ভোটের আগে যতটা বলি, ভোটের পর তার থেকেও বেশি করে করি।’ ত্রিপুরার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে শঙ্খ ধ্বনিতে স্বাগত জানান জন সমুদ্রে ভাসমান মহিলারা।