মনামী রায়: ২৩ মার্চ মধ্যরাত্রে অনেক অভিমান বুকে নিয়ে চলে গেলেন মিঠুদা। টলিউডের রমণীমোহন নায়ক অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুর কোনো ‘কল টাইম’ হয়না তা বলে ৫৮ বছর বয়সেই ‘প্যাক আপ’-টাও মেনে নেওয়া যায়না। উজ্জ্বল উচ্ছল বন্ধু প্রিয় মানুষটির বুকের মধ্যে কষ্টরা সবসময় ব্লেড দিয়ে ক্ষত তৈরী করত।

অভিষেক হয়ত মেনে নিতে পারতেন না, তাঁর জনপ্রিয় নায়ক জীবন এক লহমায় শেষ হয় গেল। বরাবরই তিনি ছিলেন খোলা মনের মানুষ তাই হয়ত কোনো রাখ-ঢাক না করেই বলতেন- ” ইন্ডাস্ট্রির দুই বিখ্যাত দাদা দিদি জুটি বেঁধে আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে”। কে এই দাদা দিদি ? সাধারণ দর্শক সব কিছু বুঝতে পেরেও এই ”ছোট্ট ঘটনা”-কে নিয়ে দামাল হয়নি। হয়তবা নেট দুনিয়া তখন জন্মায়নি বলেই বড়বড় খবরের কাগজ গুলো এই ”ছোট্ট খবর”-টাকে ঢেকে দিয়েছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবরের মাঝে।

একটি টক শো-য়ে এসে অভিষেক বলেছিলেন তাঁকে প্রায় ২০-২২টা ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মধ্যে বেশ কিছু ছবিতে তিনি ”সাইন”-ও করে নিয়েছিলেন। কারা এই ক্ষমতাবান জুটি ? কোথা থেকে এলো তাদের এতো ক্ষমতা ? উনি আরও বলেছিলেন -” প্রায় একবছর আমি বাড়ি থেকে বেরোয়নি,লক্ষীর ভাঁড় ভেঙে সংসার চালিয়েছি”।

ভাবুন তো কতটা অবসাদে ভুগছিলেন মানুষটা ? সেই টক্ শোতেই আবেগপ্রবণ হয়ে উনি বলেই ফেললেন-” সেই যে আমি পরে গেলাম আর সেরকম ভাবে উঠে দাঁড়াতে পারলাম না”। ভাবা যায়না এক অভিনেতারা অকাল মৃত্যু। কারা এই ক্ষমতাবান দাদা দিদি যাদের পৈশাচিক হিংসার কাছে হেরে যেতে হল মন খোলা ভালোমানুষ মিঠুদাকে ?