নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ। রাজ্যের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বেড, অক্সিজেন, টিকার জন্য চলছে হাহাকার। এর মধ্যেই সোমবার CBI-এর হাতে গ্রেফতার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে গ্রেফতার বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।
সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। যার প্রতিবাদে সরব বেশ কিছু তারকা সাংসদ। জার মধ্যে রয়েছে মিমি চক্রবর্তী, সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী সাংসদ সায়নী ঘোষ, তৃণা সাহা আরো অনেকে। ভ্যাকসিন না দিয়ে কেন CBI-কে পাঠানো হল? টুইটারে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা তৃণমূলের তারকাদের।
তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী টুইটারে লিখেছেন, ‘এবার CBI? তাঁরা কি ভ্যাকসিন আনছেন?’ তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘আগে ভ্যাকসিন দিন। যদি বেঁচে থাকি তবে CBI পাঠাবেন। কিন্তু, আগে ভ্যাকসিন পাঠান।’ ভ্যাকসিনের দাবিকে সমর্থন করেছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তও।
এদিন নিজের টুইটার প্রোফাইলে সায়নী লেখেন, “হেরে যাওয়ার পরও আক্রোশ যাচ্ছে না। বাই হুক অর বাই ক্রুক, যে কোনওভাবে বাংলাকে দখল করতে মরিয়া। মাননীয় দালাল প্রশাসনের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত কাজ করছেন, আর রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শাসনের চেষ্টা করে ২১৩% চপেটাঘাত খেয়েছেন। এবার আবার রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করার চেষ্টা করছেন? আমরা দেখে নেব!”
এবিষয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণা সাহা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজকের ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো। লকডাউন জারি হয়েছে। বাংলার মানুষ এবং প্রশাসন একজোট হয়ে চেষ্টা করছে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। এই সময়টায় এই ধরনের ঘটনায় যে বিক্ষোভ হবে, এ তো জানা কথা। যাঁরা এই ঘটনার নেপথ্যে, তাঁরা কী আদৌ বাংলার ভালো চান?’
তিনি আরও বলেন, ‘এতগুলো মানুষ এখন রাস্তায়। জমায়েত হচ্ছে। এতে সংক্রমণ তো বাড়বে। মৃত্যু বাড়বে। এই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তে ক্ষতি বাংলার মানুষের হবে। এখন ঘরে ঘরে করোনা আক্রান্ত। সেসব রোগীদের কষ্ট বাড়বে। বৃহৎ চিত্রটা দেখলে এটা স্পষ্ট যে সিদ্ধান্তটা বড়ই অমানবিক।’