নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা তারপরেই মুক্তি পেতে চলেছে, দেশবাসীর চোখেরমনি দেশনায়ক নেতাজি অর্থাৎ সুভাষ চন্দ্র বোসের কিছু অজানা গল্প নিয়ে ছবি ‘সন্যাসী দেশনায়ক।’ কিন্তু তার আগেই আইনি বিপাকে ভিক্টর অভিনীত এই ছবিটি। নেতাজির নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করতে দিতে নারাজ বোস পরিবার। এর আগেও নেতাজিকে নিয়ে বহু সিনেমা সিরিজ তৈরী হয়েছে। শুধু যে তৈরী হয়েছে তা নয় রীতিমতো বক্সঅফিসে চুটিয়ে ব্যবসাও করেছে সেই ছবি গুলি। আর সেই জন্যই বক্স অফিসে ব্যবসা করার পণ্য হিসাবে নেতাজির নাম ব্যবহার করতে দিতে নারাজ সুভাষ চন্দ্র বোসের পরিবারের সকলে।
অম্লান কুসুম ঘোষ পরিচালিত এই ছবিটিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে ভিক্টর ব্যানার্জীকে। পরিচালকের কথায়, ছবিটির মাধ্যমে কোনোরকম ভুয়ো গল্প রটানোর বিন্ধু মাত্র ইচ্ছা নেই তার। তারই লেখা একটি উপন্যাস ‘জ্ঞাতজনের অজ্ঞাতবাস’ এর উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি বানিয়েছেন পরিচালক। ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি নেতাজির তেমনটাই জানা গিয়েছিল মুখার্জি কমিশনের তথ্য এবং বিশ্লেষণে। তবে সে কথা অনেকেই মানতে নারাজ। ২০০৬ সালে মুখার্জী কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই নিজের ছবির জন্য রিসার্চ করতে শুরু করেন পরিচালক।


১৯৪৫ সালের অগস্ট মাসের বিমান দুর্ঘটনায় হয়তো বা মৃত্যু হয়নি সুভাষচন্দ্র বসুর। সন্ন্যাসীর বেশে তিনি ভারতে ফিরে এসেছিলেন-এমনই কিছু তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই তৈরি এই ছবি। তবে নেতাজির পরিবারের দাবি ‘এই ছবিগুলোতে নেতাজির ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। যা করা যায় না। নিজেদের নেতাজির রিসার্চার বলা লোকজন বা ছবি পরিচালকরা নেতাজির মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে একজন সন্ন্যাসী (গুমনামী বাবা)-র তুলনা টেনে চলেছে যার কোনও ভিত্তি নেই।’ তবে পরিচালক এই সবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তার কথায় -“ভুয়ো বিতর্ক সত্যের সাধনার জন্য সেরা। তবে নির্ভেজাল মানুষরা কোনওদিন পাবলিসিটির পিছনে দৌড়ান না” সুতরাং এবার এটাই দেখার যে সমস্ত বিতর্ক কাটিয়ে ছবি মুক্তি পায় কিনা।