নিজস্ব প্রতিবেদন : কাল্পনিক চরিত্র নিক অ্যাডামসের ঘটনা-অভিজ্ঞতা নিয়ে বহু ছোটগল্প লিখেছিলেন হেমিংওয়ে। পরবর্তীকালে ‘দ্য নিক অ্যাডামস স্টোরিজ’ নামে মলাটবদ্ধ আকারে প্রকাশিত হয় সেগুলি। ১৯২৭ সালে প্রকাশিত তেমনই একটি গল্প ‘দ্য কিলার্স’। ১৯৫৩ সালে স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর রুশ সংস্কৃতির আঙিনায় যে সংস্কারের হাওয়া লেগেছিল তার দরুন দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ বহু চলচ্চিত্র, গ্রন্থ রাশিয়ায় সুলভ হয়ে উঠতে শুরু করে।
এই সংস্কারের হাত ধরে হেমিংওয়ের সাহিত্যও পৌঁছে গেছিল রাশিয়ায়। ১৯৫৪ সালে আন্দ্রেই তারকোভস্কি অল ইউনিয়ন স্টেট ইনস্টিটিউট অব সিনেমাটোগ্রাফি-তে ভর্তি হন। মিখাইল রমের ক্লাসের জন্য তাঁদের একটি প্রোজেক্ট বানাতে হয়েছিল; একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র। আন্দ্রেই এবং তাঁর দুই সহপাঠী আলেকজান্ডার গর্ডন ও মারিকা বেইকু হেমিংওয়ের ‘দ্য কিলার্স’ গল্পটিকে নির্বাচন করেন প্রোজেক্টের জন্য। ছবিটির তিনটি দৃশ্যের দুটি মূল দৃশ্যই নির্দেশনা করেছিলেন আন্দ্রেই। সেই অর্থে দেখতে গেলে তারকোভস্কি নির্দেশিত প্রথম ছবি এই ছবিটিই।

ছবিটিকে কেন্দ্র করে চমৎকার সমস্ত গল্প রয়েছে ছবিটি শ্যুট করেছিলেন তাদেরই সহপাঠী আলভারেজ ও রাইবিন; সমস্ত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি তারকোভস্কিও একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। শ্রেণীকক্ষকেই মেজে ঘষে বানিয়ে নেওয়া হয়েছিল গল্পের হোটেল; দৃশ্যায়নে ব্যবহৃত প্রতিটি সামগ্রী নিজেদের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন ছাত্রছাত্রীরাই। উনিশ মিনিটের চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং মিখাইল।