শ্রাবণী পাল: করোনা মাঝে বাধ সাধলেও এবছর জমজমাট খড়দা। ২২ বছরে পা দিল খড়দহের এই বইমেলা। তেলেভাজা, ফুচকা, জিলিপির গন্ধে রমরমে স্টেশন রোড চত্বর। সঙ্গে রয়েছে বইয়ের পৃষ্ঠার শব্দও। স্মরণে রয়েছেন প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহা। বৃহস্পতিবার এখানে উপস্থিত ছিল Keykhabor। বইমেলার প্রাঙ্গণে পা দিলেই আট থেকে আশির ভিড় পড়বে চোখে। সারি ধরে বসেছে একাধিক প্রকাশনীর স্টলও। খুদে থেকে শুরু করে সব ধরণের বয়সের বইপ্রেমী মানুষদের পছন্দ হবে এমন স্টল রয়েছেই। এবারের চমক একটু অন্য। প্রত্যেকদিন অনুষ্ঠান মঞ্চের নাম খড়দহ কেন্দ্রীক এক একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নামানুসারে রাখা হয়েছে।

৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটলেই মিলবে বইমেলায় প্রবেশের অনুমতি। শুধু বুক স্টল রয়েছে তা নয়, মঞ্চে গান আবৃত্তির মতো নানা ধরনের মনোরঞ্জক উপাদানও রয়েছে। বই পিপাসু ছোটছোট ছেলেমেয়েরা উপস্থিত হয়েছে হালকা শীতের রাতে মেলার আনন্দ নিতে। অনেকেই ঘেঁটে ঘেঁটে স্বাদ নিচ্ছেন ভিন্ন ধরনের বইয়ের। বৃহস্পতিবারের মঞ্চ ছিল খড়দহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত তাপস পাল মহাশয়ের স্মৃতিচারণে তাঁকে উৎসর্গ করে। একইভাবে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বুধবারের মঞ্চ ছিল শশাঙ্কশেখর তেওয়ারির নামে এবং প্রথম দিনের মঞ্চ ছিল কাজল সিনহার স্মৃতিচারণ করে তাঁর নামে।

বৃহস্পতিবার স্টলে স্টলে জমজমাট ছিল খড়দহ বইমেলায় উপস্থিত হয়েছিল Keykhabor। সেখানেই ক্যুইজ কন্টেস্ট করানো হয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে। ছিল আকর্ষণীয় উপহারও। মাঠের বাইরে ফুচকা, পানের স্টল। রয়েছে আইসক্রিমের গাড়িও। ছোটদের নজরকাড়া খেলনা, বেলুন নিয়েও বেশ কিছু বিক্রেতা হাজির ছিলেন। এককথায় জমজমাট বৃহস্পতিবারের খড়দহের ‘বই উৎসব’।
