নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঙালি মানেই সাবেকি রান্না। আর তা যদি হয় চিংড়ি তাহলে তো আর কথায় নেই। তবে এবার আর মালাইকারী বা ডাব চিংড়ি নয় । পরে ফেলুন জিবে জল আনা চিংড়ির রেসিপি।

উপকরণ: ১০০ গ্রাম পেঁয়াজের স্লাইস, ৫০ গ্রাম টোম্যাটোর স্লাইস, ১০ গ্রাম খোসা ছাড়ানো রসুন, ৫ গ্রাম কারিপাতা, ৪০ গ্রাম আদা-রসুনবাটা
৫ গ্রাম পুদিনাপাতা, ১০ গ্রাম ধনেপাতা, ১ টি বড়ো আকারের চিংড়িমাছ, ২০০ গ্রাম সেদ্ধ ভাত, ৩০ গ্রাম দই, ১২৫ মিলি নারকেলের দুধ

মশলার উপকরণ: ১০০ মিলি তেল, ১০০ মিলি ঘি, ১ টেবিলচামচ হিং, ২০ গ্রাম গোটা গরম মশলা, ১০ টেবিলচামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ১/২ টেবিলচামচ ধনেগুঁড়ো, ১ টেবিলচামচ কসুরি মেথি, ৩ টেবিলচামচ গোলাপজল, স্বাদ অনুযায়ী নুন আর চিনি।
বিরিয়নি মশলার উপকরণ: ২ গ্রাম লবঙ্গ, ১৫ গ্রাম ছোট এলাচ, ৫ গ্রাম দারচিনির স্টিক, ১/২ চাচামচ জয়িত্রী, ১ গ্রাম গোটা ধনে, ৫ গ্রাম শুকনো গোলাপের পাপড়ি, ৫ গ্রাম শুকনো লঙ্কা। (উপরের সমস্ত মশলা শুকনো খোলায় একবার সেঁকে নিয়ে তার পর মিহি গুঁড়ো করে নিন)

পদ্ধতি: মোটা চাদরের তামার হাঁড়ি খুব ভালো করে গরম করুন। তেল আর ঘি একসঙ্গে দিয়ে তাতিয়ে নিন ভালো করে। পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন, তার পর লাল লঙ্কার গুঁড়োটা দিয়ে কষুন। এবার আদা-রসুনবাটা, গোটা রসুন, টোম্যাটো কুচি আর বেশ খানিকটা ধনেপাতা দিয়ে কষতে আরম্ভ করুন। মিনিট ৫-৭ পরে একে একে দই, নারকেলের দুধ, লঙ্কাগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, লেবুর রস দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়ে তার মধ্যে চিংড়ি মাছটা ছেড়ে দিন। নুন-চিনি আর গোলাপজলটাও দিতে হবে এই মিশ্রণের মধ্যে, রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। এর মধ্যে ভাতটা দিন, তার উপর দিন বিরিয়ানির মশলা, গোলাপ জল, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা। হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে দমে বসানোর আগে ঘি, কারিপাতা, গোলাপজল, একটু জাফরান মেশানো দুধ যোগ করুন। ৫-৭ মিনিট দমে রাখলেই সুগন্ধি বিরিয়ানি তৈরি হয়ে যাবে। রায়তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।