প্রস্রাবের রং ধূসর হলেই সোজা চলে যান চিকিৎসকের কাছে। প্রস্রাব একটি সহজাত শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি সুস্থভাবে চললে কোনও সমস্যা নেই। তবে এখানে গণ্ডগোল বাঁধলেই বুঝবেন শরীরে বাসা বেঁধেছে কোনও অসুখ। তাই সচেতন হওয়া ছাড়া গতি নেই। বিশেষত, যদি প্রস্রাব ধূসর হয়, তবে তো আরও বেশি করে সতর্ক হতে হবে।
আসলে আমরা জলপান করি। সেই জল কিডনিতে গিয়ে পৌঁছয়। কিডনি সেই জলের সঙ্গে ক্ষতিকর কিছু পদার্থ মিশিয়ে দিয়ে তৈরি করে মূত্র। তারপর তা ব্লাডারে পৌঁছয়। ব্লাডার ভর্তি হয়ে গেলে আমাদের প্রস্রাব পায়। আমরা ইউরিন করি। এই হল গোটা প্রক্রিয়াটি। অনেক সময় এই গোটা প্রক্রিয়ার কোনও একটি স্তরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে প্রস্রাবেই দেখতে পাবেন জটিলতার লক্ষণ। তখন সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই বললেই চলে। কিছু ব্যক্তির আবার হঠাৎ করেই প্রস্রাব ধূসর রঙের হয়ে যায়। এর পিছনে কিছু শারীরিক কারণ অবশ্যই রয়েছে। আসুন জানা যাক সেই সম্পর্কে।
ওয়েব মেড জানাচ্ছে, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই-এর কারণে অনেক সময় এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্লাডার, কিডনি বা ইউরেথ্রায় হয় ইনফেকশন। প্রস্রাব ধূসর হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই কয়েকটি লক্ষণও থাকে, যেমন-
১. প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা
২. জ্বালা
৩. না চাইলেও প্রস্রাব বেরিয়ে আসা
৪. প্রস্রাবে গন্ধ
৫. পেটে ব্যথা
এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। এই ওষুধ খেলেই ভালো থাকবেন।
জল প্রতিটি ব্যক্তিকে পরিমাণ মতো খেতে হবে। তার কম হলেই শরীরে দেখা দিতে পারে বিরাট সমস্যা। এক্ষেত্রে হতে পারে ডিহাইড্রেশন। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, জল কম পান করলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়। এই কারণে তা ধূসর বা গাঢ় রঙের হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে কোনও ওষুধ কাজে আসে না। বরং আপনাকে নিয়মিত জলপান করতে হবে। আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার জলপান করা প্রয়োজন।