নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে কোভিডের টিকাকরণ। তৃতীয় দফা বা বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই মিলল সুখবর। এবার থেকে পাড়ার ওষুধের দোকানেই মিলবে কোভিডের টিকা। খোলাবাজারে করোনার টিকা বিক্রির ছাড়পত্রের জন্য ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে গত ২৫ অক্টোবর আবেদন করেছিল কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে আবেদন করেছিল কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। এবার শর্তসাপেক্ষে সেই অনুমতি দিল ডিসিজিআই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, জরুরিভিত্তিতে এবং কয়েকটি শর্ত মেনে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিক্রি করা যাবে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এই সংক্রান্ত নিয়মকানুন সংশোধন করেছে। দেশের দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা – সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা টিকা সরবরাহের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দাম কত হতে পারে? এখন বেসরকারি হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের ডোজ প্রতি দাম ১২০০ টাকা ও কোভিশিল্ডের দাম ৭৮০ টাকা।
তবে খোলাবাজারে দাম কত হবে তা নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ (এনপিপিএ)-কে। সূত্রের খবর, দুই ভ্যাকসিনের দাম একই থাকবে। ডোজ প্রতি দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা। সেই সঙ্গে ১৫০ টাকা অতিরিক্ত পরিষেবা বাবদ দিতে হবে। যার ফলে সর্বমোট দাম দাঁড়াতে পারে ৪২৫ টাকার আশেপাশে। এমনটাই প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, DCGI-এর কাছে টিকা বিক্রি সংক্রান্ত আবেদনে তাঁরা যাবতীয় তথ্য অর্থাৎ টিকা তৈরির সামগ্রী, তার গঠন, ট্রায়ালের প্রতিটি স্তরের ফলাফল জানানো হয়েছে। তারাই প্রথম খোলা বাজারে ভ্যাকসিন তৈরির আবেদন জানিয়েছিল। তা অনুমোদন করেছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। DCGI সূত্রে খবর, শর্ত সাপেক্ষে হাসপাতাল, ক্লিনিকে মিলবে করোনা টিকা।
পাওয়া যাবে ওষুধের দোকানগুলিতেও, তবে এখনি নয়। ৬ মাসের মধ্যে ওষুধের দোকানেও চলে আসবে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন। সূত্রের আরও খবর, এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর গত ১৯ তারিখ এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি কোভিড ভ্যাকসিন বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করে DCGI.