নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বজুড়ে কোভিড ভাইরাসের প্রভাব অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এই কোভিড শেষের নয়। বরং আগামী দিনে এমনভাবেই থেকে যাবে বিশ্বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ডাঃ টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বলেছেন যে বিশ্বে আরও কয়েক দশক ধরে কোভিডের প্রভাব অনুভূত হবে। ডেল্টার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ঝড়ের গতিতে। টিকার অ্যান্টিবডির প্রাচীর ভেঙেই সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম ওমিক্রন।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য যে ওমিক্রন দায়ী, তা একবাক্যে স্পষ্ট জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আর কতদিন কোভিডের প্রভাব থাকবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বহু মানুষ। এবার তার উত্তর স্পষ্টভাবে জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। গেব্রেয়েসাসের বক্তব্য, বিশ্বে আরও কয়েক দশক ধরে কোভিডের প্রভাব থাকবে। অতিমারি যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই এর প্রভাব গুরতর হবে। কোভিডে যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের উপরেও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে কমনওয়েলথ দেশগুলির মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪২ শতাংশ টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন।
তাছাড়া বহু দেশেই টিকা বৈষম্য রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখান থেকে প্রথম ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানে মাত্র ২৩ শতাংশ টিকা দেওয়ার হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের এই বক্তব্য নতুন করে ফের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বহু মানুষকে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ এড়ানোর মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি না থাকারই সম্ভাবনা বেশি। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার করা এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
এদিকে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমশ কমছে। নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেট, অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৫৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৮৮ জনের। সোমবারও এই সংখ্যা ছিল ৯০০-র কাছাকাছি। একদিনে লাফিয়ে বাড়ল প্রাণহানির সংখ্যা।