নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধুমাত্র পরিবার নয় এবার একলা পুরুষ ও করতে পারবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর টানা দুই বছর ধরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর উপকৃত হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। কিন্তু শুধুমাত্র সিঙ্গল থাকায় অনেকে এই চিকিৎসা বিমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পোর্টালের তথ্য থেকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিঙ্গেল আবেদনকারী সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ । এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিজয়ের কাছ থেকে একাকী পরিবারহীন থাকার বৈধতা পত্র সংগ্রহ করে ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে আবেদনকারী কে আর ফর্ম পড়ার পর প্রয়োজনীয় সরেজমিনে গিয়ে বিভাগীয় অধিকারী খতিয়ে দেখবে তবেই একা একা থাকার পুরুষকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুমোদন করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন,’ প্রথম যখন স্বাস্থ্য সাথী চালু হয় তখন পরিবারের মহিলাদের নামেই পরিবারকে এই চিকিৎসার বীমা দেওয়া হচ্ছিল এরপর প্রথমে সিঙ্গেল মহিলা এবং পরে একাকী পুরুষদেরও স্বাস্থ্য সাথী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এই আবেদনকারীরা একটা অংশ এদের কারোর স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন সন্ত্রানাদিনেই আবার অনেক পুরুষের সন্তানরা বিদেশে থাকেন স্ত্রীর সঙ্গে বহুদিন হল বিচ্ছেদ রয়েছে পরিবারহীনদের এই সমস্যা বহু মহিলার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ব্লকে দেখা গিয়েছে। দুয়ারে সরকার শিবির, স্বাস্থ্য সাথী ফ্রম নিয়ে বেশ কিছু সিঙ্গেল আবেদনকারীর ক্ষেত্রে এমন সমস্যার খবর পৌঁছে স্বাস্থ্য ভবনে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর যখন রাজ্যের প্রত্যেক পরিবার কিছু বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস চিকিৎসার বিমা চালু করেন তখন বাড়ির প্রবীণ মহিলাদের নামে সেই বিমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময়ই দেখা যায় পরিবারের প্রথম মহিলা নামে চালু হলেও প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ নিজেকে সিঙ্গেল দেখিয়ে আবেদন করছেন তারপরেই এই ঘোষণার পেছনে যে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে তা স্বীকার করেন স্বাস্থ্যকর্তারা ।