নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র কয়েক মাসের বিরতি! ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। চিনে লকডাউনের পথে হেঁটেছে দেশ। নয়া যে জেগে প্রজাতি জেগে উঠছে তা ওমিক্রনের থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। এর সংক্রমণের হার আরও তীব্র হতে পারে। এই প্রজাতি অতি দ্রুত ছড়াতে পারে অন্য দেশেও। যা চতুর্থ ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়তে পারে ভারতে। রাজ্যগুলিকে আগেভাগে প্রস্তুত থাকার জন্যে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। দেশজুড়ে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকেই ওমিক্রনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে দেশে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা মানতে হবে।
ভারতে আগামী ২৭ মার্চ থেকে স্বাভাবিক হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। আর তাতেই আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ। বিমানবন্দরগুলিতে নেগেটিভ রিপোর্ট দেখার সক্রিয়তা আরও বাড়াতে হবে। নতুন করে কোভিড বাড়ছে চিন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বিভিন্ন দেশে। এরপর যদি বাইরের দেশ থেকে বিমান আসতে শুরু করে, তবে ভয়াবহ হতে পারে পরিস্থিতি। আগেই বিশেষজ্ঞরা জুন মাসে নয়া ঢেউয়ের আশঙ্কা করেছিল। রাজ্যগুলিকে পাঁচটি বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে- পরীক্ষা, ট্র্যাকিং, চিকিৎসা, টিকা এবং কোভিড উপযুক্ত আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক কর্তার কথায়, ”দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার বার্তা যেন সবাই বুঝতে পারে। তাই পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন সেভাবে দেশে ক্ষতি করতে পারেনি। কারণ, তখন সদ্য করোনা টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন দেশবাসীর বেশিরভাগ। কিন্তু এই সময় টিকা নেওয়া হয়েছে অনেকদিন অতিক্রান্ত। রাজ্যের কোনও এলাকায় হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ে তবে জিনোম পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সের লক্ষ্য নয়া প্রজাতি হানা মেরেছে কি না তা বোঝা।