নিজস্ব সংবাদদাতা : বিহারের মাধেপুরা জেলার উড়াকিশুনগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত ওরাই গ্রামের বাসিন্দা ৮৪ বছরের ব্রহ্মদেব মন্ডল। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, তিনি করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছিলেন। তারপর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি বিভিন্ন বিনামূল্যের টিকাদান কেন্দ্র থেকে ১১টি ডোজ নিয়েছেন। সম্প্রতি ১২ তম ডোজ নিতে গিয়ে তাঁর এই মুড়ি-মুড়কির মতো কোভিড-১৯ টিকার ডোজ নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। আর তাতে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
কারণ, মাধেপুরা জেলার সিভিল সার্জন বলেছেন, কীভাবে ওই প্রাক্তন ডাক-কর্মী এতগুলি করোনা টিকার ডোজ নিতে পেরেছেন, সেই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ব্রহ্মদেওর নাকি কোভিড টিকা নেওয়ার বাতিক ছিল। আর সেজন্য তিনি পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন। সেই পরিচয়পত্র ও তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে তিনি করোনার টিকা নিতে যেতেন।
আর তাতেই এতবার টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এতবার টিকা নেওয়ার পর তাঁর শারীরিক অসুস্থতা হত না? ব্রহ্মদেও বলছেন, ‘না।’ তাঁর টিকা নিতে ভাল লাগে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, টিকা নেওয়ার পর তিনি প্রতিবারই একটু সুস্থ বোধ করেন, সেই কারণেই ছুটে আসেন বারবার। এতবার বৈধভাবেই টিকা নেওয়ায় কোউইন অ্যাপের সিস্টেমের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে, বিহারের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, অফলাইন ক্যাম্পগুলিতে আসলে কোউইন অ্যাপের ইকোসিস্টেমকে ধোকা দেওয়া যেতে পারে। অফলাইন ক্যাম্পগুলিতে আধার কার্ড এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পরে ডাটাবেসে বসানো হয়। কখনও কখনও, একই বিবরণ থাকলে সিস্টেমে তথ্য নিতে চায় না। ফলে কম্পিউটারের তথ্য এবং অফলাইন রেজিস্টারে মাঝে মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়। যেদিন থেকে ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে, সেই দিন থেকে বিহার রাজ্যে টিকাকরণ নিয়ে অদ্ভূত অদ্ভূত খবর আসতে শুরু করেছে।
এই রাজ্যে যেমন মৃত মানুষের ফোনে সফল টিকাকরণের বার্তা এসেছে, তেমনই কোউইন অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী এই রাজ্যেই টিকায়িত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনরা। এবার আরও একটি মাথা খারাপ করে দেওয়ার মতো খবর এল নীতীশ কুমারের রাজ্য থেকেই।