নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তবে এইবার যেটা আপনারা পড়তে চলেছেন এর থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য হয়তো আগে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত-বয়ফ্রেন্ড আফতাব আমিন পুনাওয়ালার পলিগ্রাফি পরীক্ষা করে তদন্ত অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে অভিযুক্তর। সে জিজ্ঞাসাবাদে বিন্দুমাত্র অনুতাপ দেখা যায়নি আফতাবের মধ্যে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী স্বাধীনতা, জাতের বিভেদ না করা, সমমর্যাদার একাধিক পোস্ট শেয়ার করলেও তার মানসিকতা ঠিক এর বিপরীত। (দৈনিক জাগরণের তথ্য অনুযায়ী) পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাবের মতে এই অপরাধের জন্য যদি ফাঁসিও হয় তাতে কোনও আফসোস নেই। বরং জন্নত অর্থাৎ স্বর্গলাভই হবে। এমনকী, শ্রদ্ধাকে খুন করে টুকরো করাকেও অপরাধ বলে মনে করেনা সে।
এতেই শেষ নয়। আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে। যা লাভ জিহাদের বিষয়টি আবারও উস্কে দিচ্ছে। পুলিশকে আফতাব জানিয়েছে, ডেটিং অ্যাপে হিন্দু মেয়েদের ফাঁসানোই ছিল লক্ষ্য। শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহগুলো ফ্রিজে থাকাকালীন একজন হিন্দু মনোবিদের সঙ্গে আলাপ হয়। তাকে বাড়িতেও আনে সে। শ্রদ্ধার আংটি দিয়েই মেয়েটিকে নিজের জালে ফাঁসিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে। একই সঙ্গে সে আরও জানিয়েছে, মুম্বইতে থাকাকালীনই শ্রদ্ধাকে খুনের ছক কষে ফেলেছিল সে। তাই দিল্লিতে আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের মতে, পলিগ্রাফি পরীক্ষায় দেওয়া স্বীকারোক্তি সাহায্য করছে তদন্ত প্রক্রিয়ায়। এরপর নারকো পরীক্ষাও করা হবে আফতাব পুনাওয়ালার।