নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবারই নয়া দিল্লিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের ভারত সফরে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার সফরের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা শোনা যায় এদিন শেখ হাসিনার মুখে। প্রতিবেশী দেশের জন্য এই দুই দেশের সম্পর্ক নজির বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ৭টি মউ স্বাক্ষর করল ভারত-বাংলাদেশ। রেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি, জলসম্পদ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বিচার ব্যবস্থা-সহ নিয়ে মোট সাতটি মউ সাক্ষরিত হয়। তার মধ্যে রয়েছে অসমের কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন চুক্তি। বৈঠক শেষ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা, জলবন্টন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ওই লড়াইয়ের পর ও ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রীর বাতাবরণে বসবাস করছে। আমাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মোদীজির নেতৃত্ব। আমি মোদীজিকে ধন্যবাদ জানাই যে আমরা কুশিয়ারা সমস্যার সমাধান করেছি। আমি জানি যতদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে থাকবেন, বাংলাদেশ ও ভারত এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে।’
এদিন মোদী বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আইটি মহাকাশ গবেষণা এবং নিউক্লিয়র সেক্টরে আমরা একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।’ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রদেশে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গী হল বাংলাদেশ।’