নয়াদিল্লি: ২০০২ সালে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করে ১২ জন। চোখের সামনে মেয়ে সহ পরিবারের সাতজনকে খুন করে অভিযুক্তরা। এরপর গ্রেপ্তারও হয় তারা। মামলা চলাকালীন একদম সাজাপ্রাপ্তর মৃত্যু হয়। বাদবাকি দোষীরা ১৫ বছর জেলেই ছিল। এরপরই অভিযুক্তদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন জানানো হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেয়েই একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। সেই কমিটির সিদ্ধান্তেই ১১ জন ধর্ষককে নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয়। জেল মুক্ত যশবন্তভাই নাই, গোবিন্দভাই নাই, শৈলেশ ভাট, রাধেশাম শাহ, বিপিন চন্দ্র জোশী, কেসরভাই ভোহানিয়া, প্রদীপ মোর্ধিয়া, বাকাভাই ভোহানিয়া, রাজুভাই সোনি, মিতেশ ভট্ট এবং রমেশ চন্দনা। মূলত গুজরাত সরকারের কৌঁসুলি হলফনামা দিয়ে বলেছিলেন, জেলে থাকাকালীন ভালো ব্যবহার করেছে মক্কেলরা। এই যুক্তি দিয়ে ধর্ষকদের মুক্তির আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
এবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে দুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকুল বানো। গণধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের সরব নির্যাতিতা। মূলত গুজরাত নির্বাচনের আগে ধর্ষকদের মুক্তির দাবি জানানো হয় বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘এটা কী ধরনের মহোৎসব? স্বাধীনতা দিবসে আপনি নারী সম্মানের কথা বলছেন। এদিকে গুজরাতে ধর্ষক, খুনীদের নির্দোষ ঘোষণা করা হচ্ছে।’