নিজস্ব সংবাদদাতা : বিটকয়েনের অনিয়ন্ত্রিত বাজারের লাভ তুলতে পারে অপরাধ চক্র। সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের ক্ষেত্রেও বিটকয়েনকে হাতিয়ার করা হতে পারে, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সম্প্রতি একই বিষয়ে অর্থমন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনাও হয়। ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত হয়েছিলেন, বিটকয়েনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় না।
কিন্তু নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে অবশ্যই। বর্তমানে বিটকয়েন সংক্রান্ত বিলটির বিস্তারিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিবেচনার জন্য পেশ করা হতে পারে বিলটি। আরও জানা গিয়েছে, বিটকয়েনের উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিল নিয়ে শেষ মুহূর্তের আলোচনা চলছে বলেই খবর।
সূত্রের খবর, বিটকয়েনের ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করার পথে না হেঁটে ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তবে মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বরং শেয়ার, সোনা, বন্ডের সমগোত্রীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে বিটকয়েনকে। পেমেন্ট ও লেনদেনের ক্ষেত্রে বিটকয়েনের ভারচুয়াল মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা হতে পারে বলেই খবর।