নিউ দিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিশন সিবিআই সারা দেশের অনেক ব্যাপারে তদন্ত করছে। তা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক ও চলে। তবে এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সিবিআইয়ের কাছে। কি হয়েছে পিএমও তে? কোনও বড়সড় চুরি নাকি রাহাজানি? তথ্যতে হাত পড়েনি তো?

সিবিআইয়ের কাছে প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পিএমও-র অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর অনিলকুমার শর্মা। তাঁর অভিযোগ, চণ্ডিগড়ের বর্ষীয়ান আইপিএস আধিকারিকের কাছে একটি ফোন যায়। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে পিএমওর যুগ্ম সচিব রোহিত যাদব হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের বদলি আটকানোর চেষ্টা করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রতারণা করা হচ্ছে। পিএমও দপ্তরের কোনও আধিকারিক এমন কোনও ফোন করেনি। ফোন নম্বরটিও তাঁর নয়। অন্য কেউ পরিচয় ভাঁড়িয়ে ফোন করে প্রতারণা করছে।

দ্বিতীয় এফআইআরে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পরিচয় দিয়ে রবিকান্ত খারাব নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করা হয়। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে রিজার্ভ ব্যাংকে চাকরির দেওয়ার প্রলোভন দেখায় বলে অভিযোগ। এমনকী. ২৫ হাজার টাকা অগ্রিমও নিয়েছিল অভিযুক্ত।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর পিকে ইসার ও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, কেরলের বাসিন্দা ডা. শিব কুমার নামে এক ব্য়ক্তি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। পরপর তিনটি অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে সিবিআইও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকরা জানান,তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।

পিএমওর আধিকারিক সেজে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা যা সামনে আসছে তা নিয়ে চিন্তিত সকলে। কাউকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তো কোথাও আবার পিএমও আধিকারিক সেজে পুলিশের রদবদল আটকানোর চেষ্টা চলছে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই এফআইআরের শুরু ভিত্তিতে হয়েছে তদন্ত।