নিজস্ব সংবাদদাতা : গত সপ্তাহের সোমবার, ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি বোবদের একটি বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তুমুল হইচই পড়ে যায়। দেশ জুড়ে নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীরা তীব্র সমালোচনা শুরু করেন বোবদের। বোবদেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়।
একটি ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মোহিত সুভাষ চভনের জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। মহারাষ্ট্রের সরকারি বিদ্যুত্ উত্পাদন সংস্থার কর্মী মোহিতের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল।
পকসো আইনে অভিযুক্ত মোহিতের বিরুদ্ধে ওই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট মোহিতকে বলে, ”যদি তুমি (ধর্ষিতকে) বিয়ে করতে চাও, আমরা সাহায্য করতে পারি। যদি না চাও, তবে তুমি তোমার চাকরি খোয়াবে। তোমাকে জেলেও যেতে হবে।”
সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। মামলাটির শুনানিতে তিনি বলেন, ”তুমি মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছ। তবে আমরা তোমাকে জোর করছি না। কারণ সে ক্ষেত্রে পরে তুমি বলবে আদালত তোমাকে বাধ্য করেছে।”
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়েরই নিন্দায় সরব হয় দেশের বিভিন্ন মহল।আজ সেই বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ধর্ষণে অভিযুক্তকে বিয়ে করতে বলা হয়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনি কি বিয়ে করতে যাচ্ছেন?
তিনি আরও বলেন তাঁরা ‘বিবাহ’ বলেননি। বোবদে বলেন ,তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্য়া করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নারীত্বের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে বলেও জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।