নিজস্ব সংবাদদাতা : মাস খানেকের মধ্যেই সম্পূর্ণ বদলে গেল রাজধানীর ছবি। গত মে মাসেই দিল্লির জনপদে শ’য়ে শ’য়ে চিতা জ্বলার দৃশ্য সামনে এসেছিল। এখন লকডাউন উঠে আনলক-পর্ব শুরু হতেই ভিড়ে ঠাসা বাজারের ছবি সামনে আসতে শুরু করেছে। বাজারে লাগামছাড়া ভিড়, উধাও মাস্ক বিধি, যা দেখে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে দিল্লি।
এই প্রেক্ষাপটে দিল্লি সরকারকে সতর্ক করল হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়, বলা হয়েছে এর ফলে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে রাজধানীতে। সংক্রমণের হার খানিকটা কমতেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। খুলেছে পরিবহণ পরিষেবা ও দোকানপাট।
যার জেরে নিয়মবিধিও শিকেয় উঠেছে। তা নিয়েই দিল্লি এবং কেন্দ্র সরকারকে সতর্ক করল দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লি হাই কোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি নবীন চাওলা এবং আশা মেনন জানান, এইমসের এক চিকিত্সকের কাছে পাওয়া ছবি দেখে তাঁরা উদ্বিগ্ন। কোথাও ন্যূনতম বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না।
চলতি মাসের গোড়াতেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল জানান, তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় এখন থেকেই পদক্ষেপ করা শুরু করেছে দিল্লি সরকার। হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা এবং ওষুধের সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু জনসচেতনতা না বাড়লে যে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করেও খুব লাভ হয় না, তা দেখিয়েছে দ্বিতীয় তরঙ্গ।
আদালত এ বিষয়টিই স্মরণ করিয়ে সচেতন করেছে।চিকিৎসক এবং কোভিড বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লকডাউন তুলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার চক্করে আদতে টিকাকরণ কর্মসূচিই বাধাপ্রাপ্ত হবে।