নয়া দিল্লি: ধোঁয়ায় ঢাকল রাজধানীর আকাশ। যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি। প্রবল ঠাণ্ডায় জবুথবু রাজধানী দিল্লি। সঙ্গে দোসর কুয়াশা। যার জেরে প্রতিদিন সকালেই রেল, বিমান এবং যান চলাচল থমকে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে এবার গাড়ি চলাচলের উপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ চালু করল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। BS3 পেট্রোল ও BS4 ডিজেল গাড়ি চলাচলের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, আজ মঙ্গলবার থেকে BS3 পেট্রোল ও BS4 ডিজেল গাড়ি রাস্তায় চলাচল করবে না। শুক্রবার পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। পরিবেশ দপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বায়ুর গুণগত মান ছিল ৪৩৪। যা রবিবারে তুলনায় খারাপ। রবিবার এই সূচক ছিল ৩৭১। আগামী ২৪ ঘণ্টা বাতাসের মান ‘গুরুতর’ থাকবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ব্যাপারে দিল্লি পরিবহণ দপ্তরের এক সিনিয়ার আধিকারিক বলেন, ‘বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ হওয়ার জন্যই র। BS3 পেট্রোল ও BS4 ডিজেল গাড়ি চলাচলের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে আমরাও বায়ুর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যদি বায়ুর মানের উন্নতি ঘটে তাহলে শুক্রবারের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুর গুণগত মানের সূচক ২০০-র উপর হলেই সেটি খারাপ হিসাবে গণ্য করা হয়। বায়ুর গুণগত মান ২০০ থেকে ৩০০ হলে সেটিকে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত সূচককে ‘খুব খারাপ’ এবং সূচক ৪০০-র উপর উঠলে অর্থাৎ ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত মানকে ‘গুরুতর’ হিসাবে ধার্য করা হয়। যা বর্তমানে দিল্লিতে চলছে।
উল্লেখ্য, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজধানী। এদিনও দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বাচ্চাদের কথা ভেবে রবিবারই দিল্লির সমস্ত বেসরকারি স্কুলের শীতকালীন অবকাশ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে দিল্লি সরকার। এছাড়া সরকারি স্কুলগুলিতে কেবল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে বলে দিল্লি শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করেছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে স্কুল চালু হবে বলেও শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।