নিজস্ব সংবাদদাতা : কৃষি আন্দোলনের অংশ হওযার জন্য সারা দেশ থেকে অসংখ্য কৃষক পৌঁছে যাচ্ছেন দিল্লি সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে। দেখতে দেখতে কৃষক আন্দোলন তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। দিল্লি হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গেই অন্যান্য প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে আন্দোলনরত কৃষকদের।
কিন্ত তাও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা। কোথাও ভাটা পড়েনি। বুধবার ২৮ দিনে পা দিয়েছে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এরই মাঝে কৃষকরা রক্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন। সেখানে লেখা রয়েছে, “সুপ্রভাত নরেন্দ্র মোদিজি। আমরা নিজেদের রক্ত দিয়ে এই চিঠি লিখছি। আপনি আমাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
তিনটি কৃষি আইন পাশ করিয়ে আপনি কৃষকদের ঠকিয়েছেন। আমরা অনুরোধ করছি আপনি এই প্রত্যাহার করে নিন।” চিঠির পাশাপাশি বড় পোস্টারও পড়েছে প্রতিবাদ স্থলে। সেখানে রক্ত দিয়ে কৃষকরা লিখেছেন, “কালো আইন ফিরিয়ে নিন, ” “আমরা কালো আইন ফিরিয়ে দিচ্ছি।” “দয়া করে ফিরিয়ে নিন।”
লুধিয়ানার ভাই ঘনিয়াজি মিশন সেবা সমিতিরি পক্ষ থেকে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়, শতাধিক মানুষ রক্তও দিয়েছেন সেখানে । দিল্লির সিংঘু সীমান্তে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক নেতা কুলবন্ত সিং সান্ধু জানান, পাঞ্জাবের ৩২টি কৃষক সংগঠন একটি বৈঠক করেছে ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে।
বুধবার গোটা দেশের কৃষক নেতারা বৈঠক করে কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, তারা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্রতর করবেন। ২৫ থেকে ২৭শে ডিসেম্বর হরিয়ানার টোল প্লাজাগুলি ফ্রি করে দেওয়া হবে। ৩৬ জন ব্রিটিশ এমপি ও ৪০ জন মার্কিন সেনেটর এই নয়া আইন নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসকে চিঠি দিয়েছেন।