নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশজুড়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। ছন্দে ফিরছে জনজীবন। তবে কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল সংক্রমণ এবং মৃত্যু। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটও। বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হলেও এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৬২২ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১০২ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা নেমে গিয়েছিল ১৩ হাজারে। তবে একলাফে অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫২২। এক শতাংশেও নিচে নেমে গিয়েছে অ্য়াকটিভ কেস (০.৩৮ শতাংশ)। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা পজিটিভিটি রেট ১.২৮ শতাংশ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। তবে চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের কোভিড গ্রাফ।
গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হাজারের বেশি। প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। তবে এই উদ্বেগের মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৮৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৭৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৪২ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৬ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩৩ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১১ লক্ষের ৮৩ হাজার ৪৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। করোনা টিকাকরণে ভরসা রেখেই কোভিড কমানোর দিকে লক্ষ্য রেখেছে ভারত। বায়োলজিকাল ই-এর ভ্যাকসিন Corbevax-কে সীমিত জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগস জেনারেল কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়া ।
যদিও ১২ বছরের কম বয়সীদের এই টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকার এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ১৪ ফেব্রুয়ারি CDSCO-এর COVID-19 বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি বায়োলজিক্যাল ই-এর আবেদনের বিষয়ে আলোচনা করে। সেখানেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার আলোচনা হয়৷ এরপরই শর্তসাপেক্ষে এই টিকাকে ডিজিসিআই অনুমোদন দেয়। বায়োলজিক্যাল ই’র এই অ্যান্টি করোনা ভ্যাকসিনের নাম ‘কর্বিভ্যাক্স’, যা একটি আরবিডি প্রোটিন সাব ইউনিট ভ্যাকসিন।