রবিবার ত্রিপুরায় হয় তৃণমূলের ইস্তাহার প্রকাশ। সোমবারই ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া সাম্মানিক ডি-লিট নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দেবেন ত্রিপুরার (Agartala-Tripura) উদ্দেশে। দুপুর ১টায় রওনা দেবেন মমতা – অভিষেক। দু’দিনের সফরে নেত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন নির্বাচনী প্রচারে। সোমবার আগরতলায় (Agartala-Tripura) নেমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাবেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে। আগরতলায় ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা থেকে রোড-শো, তারপর জনসভা। আগরতলার রবীন্দ্রভবন থেকে শুরু হয়ে শহরের নানা প্রান্ত ছুঁয়ে রবীন্দ্রভবনের সামনে এসেই শেষ হবে রোড-শো।
প্রসঙ্গত, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পৌঁছনোর আগেই রবিবার তৃণমূলের ইস্তাহার প্রকাশিত হল। ত্রিপুরাবাসীর স্বপ্ন সফল করতে, ত্রিপুরার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে ১০ অঙ্গীকার তৃণমূল কংগ্রেসের। ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার যে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানেই রয়েছে ১০ অঙ্গীকার— তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে যা পূরণ করবে। তাই তো এবার তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ত্রিপুরায় এবার স্বচ্ছ সরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, জল-বিদ্যুৎ-সড়ক, নিরাপত্তা, পর্যটন, সংস্কৃতি, বেকার ভাতা সহ এই ধরনের একাধিক অঙ্গীকার রয়েছে ইস্তাহারে। রবিবার দুপুরে আগরতলার দলীয় দফতরে বাংলা থেকে যাওয়া দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজার উপস্থিতিতে ত্রিপুরায় দলের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস সাংবাদিকদের সামনে ইস্তাহার প্রকাশ করেন।