লখনউ: গত বছরের ডিসেম্বরে সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ডিজিজিআই। ১৯৫ কোটি টাকা নগদ, ২৩ কেজি সোনা এবং ৬০০ কেজি চন্দনকাঠের তেল উদ্ধার হয়েছিল। তারপরই হাজতবাসে যেতে হয় ব্যবসায়ীকে। মঙ্গলবার আমদাবাদের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্সের অ্যাকাউন্টে ৫৪ কোটি টাকা কর জমা দেয় পীযূষ। সেই তথ্য জানিয়ে জামিনের আবেদনও করেছেন তিনি। যদিও আদালতে তা মঞ্জুর হয়নি। ডিসিজিআই জানিয়েছে, এখনও আরও তদন্ত বাকি।
শুধু নগদ, গয়না নয়। কানপুর এবং কনৌজের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কেও পীযূষের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পায়। ৩১ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। ১২০ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি এবং ৫০ ঘণ্টা জেরার পর গত বছরের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছিল পীযূষকে। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভুয়ো ইনভয়েস দিয়ে জিনিস পাঠানো, ই-ওয়ে বিল ছাড়া জিনিস পাঠানোর অভিযোগও ওঠে। ৫০ হাজার টাকার ২০০টি এমন ভুয়ো ইনভয়েস পাওয়া গিয়েছিল পীযূষের সংস্থার বিরুদ্ধে। ডিজিজিআই-এর আইনজীবী অম্বরীশ জৈন জানান, ‘সংস্থার তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই এই মুহূর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়নি। এমনকী তাঁর আবেদন মঞ্জুরও করা হয়নি। তদন্ত শেষ হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’ বিজেপির প্রশ্রয়েই এদের উত্থান, অভিযোগ বিরোধী শিবিরের।
প্রতিবেশীদের মতে, পীযূষের দাদুর ছিল কাপড় ছাপার ব্যবসা। সে ও তাঁর ভাই অম্বরীশ, কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছেন। পীযূষ প্রথম জীবনে মুম্বইয়ে ফেরিওয়ালার কাজ করত। রসায়নে দক্ষতা থাকায় সাবান, কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবানের উপাদানও তৈরি করতে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যেই পারিবারিক ব্যবসার ভার এসে পড়ে পীযূষের কাঁধে। দু’টো ব্যবসা একসঙ্গেই চালাতে থাকে সে। পীযূষের তিন সন্তান। সবচেয়ে বড় মেয়ে নীলাংশা। পেশায় পাইলট নীলাংশার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তল্লাশির সময় কানপুরের বাড়িতেই ছিলেন প্রত্যুষ ও প্রিয়াংশ— পীযুষের দুই ছেলে। ছোট ব্যবসায়ী থেকেই ধীরে ধীরে অসাধু পথ অবলম্বন করা শুরু করে সে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি।