নিজস্ব সংবাদদাতা :: আনন্দ এবার অন্য বছরের মতো মোটেও নেই! প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাস এক-এক করে সমস্ত আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। গণেশ চতুর্থীতেও মুখভার আপামর দেশবাসীর। অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমক করে না হলেও, শনিবার সকাল থেকেই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সিদ্ধিদাতার পূজার্চনা করেছেন ভক্তরা। দেশের বিভিন্ন মন্দিরে সকালের ‘আরতি’ করা হয়। মন্দিরে এবার দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল না। শনিবার সকালে মুম্বইয়ের শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পূজার্চনা করা হয়। প্রতি বছর গণেশ চতুর্থীতে, মুম্বইয়ের লালবাগ অঞ্চল মুখরিত হয় “গণপতি বাপ্পা মরিয়া” ধ্বনিতে। বিশাল জনতা স্বাগত জানান সিদ্ধিদাতাকে। ১০ দিন ব্যাপী চলে জমকালো উৎসব। তবে এবছর চিত্রটা একেবারে অন্যরকম। প্যান্ডেল প্রায় নির্জন, কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্মী রয়েছেন, যারা মুখোশ পরে পুজোর তদারকি করছেন । বৃহত্তর প্যান্ডেলগুলিতে সাধারণত দিনে চারশোরও বেশি দর্শকের উপস্থিতি থাকে। এই বছর, আয়োজকরা ভক্তদের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ-স্ট্রিম কার্যবিধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।প্যান্ডেলগুলিতে স্পর্শ-মুক্ত স্যানিটাইজার ডিসপেন্সার এবং অক্সিমিটার – থার্মোমিটার রাখার কথা বলা হয়েছে । প্রবীণ নাগরিক এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্যান্ডেলে না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিএমসি প্যান্ডেলগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। বলা হয়েছে , গণপতি প্রতিমাগুলির উচ্চতা ৪ ফুট রাখতে হবে, বাড়ির প্রতিমার ক্ষেত্রে ২ ফুট। নিশ্চিত করতে হবে একসঙ্গে প্যান্ডেলে পাঁচ জন কর্মীর বেশি যেন কেউ না থাকে।গণপতি একসময় ছিলেন পশ্চিম এবং উত্তর ভারতের আরাধ্য দেবতা। সময় বদলেছে, পশ্চিমবঙ্গতেও এখন গণপতির পুজোয় মেতেছে বাঙালি। বিগত কয়েক বছরে বাংলার পাড়ায় পাড়ায় লাফিয়ে বাড়ছে গণপতির উপস্থিতি। তবে, এবার সমস্ত আনন্দ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। গণেশপুজো উপলক্ষে শনিবার সকালে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।