নিজস্ব প্রতিবেদন: লিভ-ইন সম্পর্ক বা সমকামিতা সমাজের চোখে খারাপ। যারা এই ধরনের সম্পর্কে জড়ান, তাদেরও খানিকটা আড়চোখে দেখা হয় দেশে। তবে দেশের শীর্ষ আদালত বলছে অন্য কথা। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, লিভ টুগেদার বা সমকামী সম্পর্কগুলিকেও এবার পরিবারের সম্মান দিতে হবে। এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই সম্পর্কগুলো বিরল মনে হলেও আইনের চোখে তা নিরাপত্তা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও এএস বোপান্নার বেঞ্চ বলেন, পরিবার বলতে সমাজ ও আইনের চোখে যা বোঝায়, তা হলো বাবা-মা ও তাদের সন্তান। একই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনেক ক্ষেত্রেই নানা পরিস্থিতিতে একটা পরিবারের কাঠামোতে বদল ঘটে। যা অনেক পরিবারের কাছে প্রত্যাশিত নয়। এই ধরনের পরিবার দুজন অবিবাহিত নারী-পুরুষ বা সমকামী যুগলকে নিয়েও তৈরি হতে পারে। এই ধরনের সম্পর্কগুলো হয়তো সমাজে তথাকথিত পারিবারিক সম্পর্কের মতো নয়, কিন্তু আইনত তাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য বলে জানায় আদালত।
আদালত এও বলেছে, বিবাহ বিচ্ছেদ হোক বা সঙ্গীর মৃত্যু, কিংবা আলাদা থেকে যদি কেউ একা সন্তান পালন করেন, শিশুর অভিভাবকত্বও যদি কেউ একা পালন করেন, সে ক্ষেত্রে তিনি পুনর্বিবাহ করুন বা দত্তক নিয়ে কিংবা শুধুমাত্র সন্তান পালক হন, তা সমাজের দৃষ্টিতে পরিবার হিসাবে গণ্য না হলেও আইনে তারা সবরকম সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
২০১৮ সালে সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিলেও তাঁদের বিয়েকে আইনি মান্যতা দেয়নি শীর্ষ আদালত। তাছাড়াও লিভ ইন সম্পর্কে থাকলে সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার থাকে না। এই দু’টি বিষয়ে অধিকার পাওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের রায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, হয়তো চিরাচরিত পরিবার প্রথার চেয়ে এই ধরনের পরিবারগুলি অনেকটাই আলাদা। কিন্তু এই ধরনের পরিবারেও একই রকম ভাবে ভালবাসার সম্পর্ক থাকে। সেই কারণেই এই পরিবারগুলির একইরকম আইনি সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিত।